পাতা:কবিতা-কুসুমাঞ্জলি (প্রথম খণ্ড) - দ্বারকানাথ বিদ্যারত্ন.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r" কবিতা-কুসুমাঞ্জলি । তথা মৃত্যুঃ শরীরাভ্যন্তরস্থ-মরণং শরীর-গোপ্তারিং শরীর-রক্ষা-কৰ্ত্তারং জনং দৃষ্টা হসন্তীতি শেষঃ । তথৈব বসুন্ধরা পৃথ্বী স্বীকৰ্ত্তািরং অস্বং স্বং কুৰ্ত্তারং জনং দৃষ্টা হসতি হাসং করোতীত্যৰ্থঃ ৷৷ ৪৮ ৷৷ পদসাধনাদিকং যথা-শরীর গোপ্তারামিতি শরীরং গোপায়তি ইতি বাক্যে শরীর পূর্বাৎ গুপধাতোরুত্তরে কৰ্ত্তরি। তৃন প্রত্যয়ে সতি শরীরগোপ্ত ততো দ্বিতীয়ায় আমি কৃতে শরীর-গোপ্তারিং পদং সিদ্ধং । স্বীকার্ভারমিতি অস্বং স্বং করে।াতি ইতি বাক্যে অভূততদভাবে ঢ়ি-প্রত্যয়ে স্বীকার্ভারমিতি সিদ্ধং । অপরং সুগমং ৷৷ ৪৮ ৷৷ . অস্ত বঙ্গভাষা যথা—বহু দিনান্তে দূরদেশ হইতে গুহ সমাগত স্বামী পুত্রবৎসল৷ হইয়া অজ্ঞাত জারজ-পুত্রকে সাদরে ক্ৰোড়ে লইয়া “ওরে আমার বাপ ধনটা, ওরে আমার সোনাব যাদু” ইত্যাদি বাক্য বলিতে বলিতে পুলকিত হইয়া জারজ পুত্রকে যখন নৃত্য করাইতেছেন, সেই সময়ে পত্নী আন্ধাবগুষ্ঠিত হইয়া কিঞ্চিৎ দূর হইতে অবলোকন করিতে করিতে সা-হাস্য বদনে মনে করিতেছেন যে, “কাহার পুত্ৰ কে নাচাইতেছে ইত্যাদি মনে ধারণ করিয়া যেরূপ হাসিতে থাকেন, সেইমত শরীরাভ্যন্তরস্থ মৃত্যু দেহ-বিন্যাস-কারীকে টেড়িকাটা ও আন্তর গোলাপ মৰ্দন কারীকে দৃষ্টি কবিয়া হাসিতে থাকেন, দেহ বিন্যাসকারী তৎকালে অর্থাৎ টে-ড়ি কাটিবার সময়ে বা গোপে আতর দিবার সময়ে ভ্ৰমেও মনে করেন না যে, --এই শরীরোৎপন্ন সহ মৃত্যুও সৃষ্টি হইয়া দেহাভ্যন্তরে জীবাত্মবৎ সত্যত বাস করিতেUছন, সেই शृङ्ा ङेश्रशृङ ञभ6च 'q ^ेक्षः ভৌতিক দেহের ঘাড় ভাঙ্গিয়া শমন ভবনে লইয়া যাইবেন, এবং যে মুখকে আতর গোলাপে সৌগন্ধময় করিতেছেন, অস্তোষ্টি ক্রিয়াকালে সেই সৌগন্ধময়-মুখমণ্ডলে অগ্ৰেই প্ৰিয় পুত্ৰ প্ৰজ্বলিত হুতাশন দ্বারা টেড়িসহ সেই মুখ-মণ্ডল দক্ষ্মীভূত করিবে - - ইহা ভ্ৰমেও চিন্তা করেন না || 8৮ }} তদ্রুপ বসুন্ধরা ( পৃথী ) পরাভূমি গ্রহণোদ্ভূত মানবকে দর্শন করিয়া পূৰ্ববং হাস্ত করিতে করিতে মনে করেন যে, দৈত্যপতি বলি, শুম্ভ নিশুম্ভ ও রাবণ