পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৩ ]

বান্দ ছিল, একারণ সেই স্থান “পেঁড়োর গড়” নামে আখ্যাত হইয়াছিল।

 নরেন্দ্রনারায়ণ রায়ের চারি পুত্র, জ্যেষ্ঠ “চতুর্ভুজ রায়” মধ্যম “অর্জ্জুন রায়” তৃতীয় “দয়ারাম রায়” এবং সর্ব্ব কনিষ্ঠ “ভারতচন্দ্র রায়”। এই বিশ্ব বিখ্যাত ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর মহাশর ১৬৩৪ শকে শুভক্ষণে অবনী মণ্ডলে অবতীর্ণ হয়েন।

 এমত জনরব, যে, অধিকারভুক্ত ভূমি সংক্রান্ত সীমা সম্বন্ধীয় কোন এক বিবাদ সূত্রে নরেন্দ্রনারায়ণ রায় বর্দ্ধমানাধিপতি মহারাজ কীর্ত্তিচন্দ্র রায় বাহাদুরের জননী শ্রীমতী মহারাণী বিষ্ণুকুমারীকে কটুবাক্য প্রয়োগ করেন, ঐ সময়ে মহারাজ কীর্ত্তিচন্দ্র অতিশয় শিশু ছিলেন, তাঁহার মাতা মহারাণী সেই দুর্ব্বাক্য শ্রবণে অত্যন্ত কোপান্বিতা হইয়া “আলমচন্দ্র” ও “ক্ষেমচন্দ্র” নামক আপনার দুইজন রাজপুত সেনাপতিকে কহিলেন “হয় তোমরা এই ক্রোড়স্থ দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে এখনি বিনাশ কর, নয়, এই রাত্রির মধ্যেই “ভুরসুট” অধিকার করিয়া আমার হস্তে প্রদান কর, ইহা না হইলে আমি কোনমতেই জল গ্রহণ করিব না, প্রাণ পরিত্যাগ করিব” এই আজ্ঞা শিরোধার্য্য করত উক্ত সেনাপতিদ্বয় দশ সহস্র সৈন্য লইয়া সেই রজনীতেই “ভবানীপুরের গড়” এবং “পেঁড়োর গড়” বল দ্বারা অধিকার করিয়া লইল। পর দিবস প্রাতে রাণী বিষ্ণুকুমারী পেঁড়োর গড়ে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, ভূপতি নরেন্দ্র রায় ও তাঁহার পুত্রগণ