পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৪ ]

এবং কর্মচারি পুরুষ মাত্রে কেহই নাই, সকলেই পলায়ন করিয়াছেন, কেবল কতকগুলীন স্ত্রীলোকমাত্র অতিশয় ভীতা ও কাতরা হইয়া হা! হা! শব্দে রোদন করিতেছেন।—মহারাণী সেই কুলাঙ্গনাগণকে অভয় বাক্যে প্রবোধ দিয়া সান্ত্বনা করত কহিলেন “তোমারদিগের কোন ভয় নাই, স্থির হও, স্থির হও, কল্য একাদশী গিয়াছে, আমি উপবাস করিয়া রহিয়াছি, আমাকে শালগ্রামের চরণামৃত আনিয়া দেহ, তবে আমি জল গ্রহণ করিতে পারি” এই বাক্যে পূজক ব্রাহ্মণ তৎক্ষণাৎ অমনি তাঁহার সম্মুখে “লক্ষ্মীনারায়ণ শিলা” আনয়ন পূর্ব্বক স্নান করাইয়া চরণামৃত প্রদান করিলেন, রাণী অগ্রে তাহা গ্রহণ করিয়া পরে জলপান করিলেন। অনন্তর শালগ্রাম এবং অন্যান্য ঠাকুরের সেবার নিমিত্ত কিয়দংশ ভূমি দান করিলেন, আর ভবানীপুরের কালীর ভোগ-রাগের জন্য প্রতিদিন এক টাকা নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন, কিন্তু যে সকল অর্থ ও দ্রব্যাদি লইয়াছিলেন তাহার কিছুই পরিত্যাগ করিলেন না, শুদ্ধ গড়, গৃহ, পুষ্করিণী ও উদ্যানাদি পুনঃ প্রদান পূর্ব্বক বর্দ্ধমানে পুনর্গমন করিলেন।

 এতদ্ঘটনায় নরেন্দ্র রায় এককালেই নিঃস্ব হইলেন, সর্ব্বস্বই গেল, কোনরূপে কায়ক্লেশে দিনপাত করিতে লাগিলেন।—এই সময়ে কবিবর ভারতচন্দ্র পলায়ন করত মণ্ডলঘাট পরগণার অধীন গাজীপুরের সান্নিধ্য “নওয়াপাড়া” নামক গ্রামে আপনার মাতুলালয়ে