পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৫ ] কাতর হইয়া বিনয় বাক্যে র্তাহাকে কহিলেন “ ও মহাশয় । অমুক অমুক স্থানে খাজান বাকী আছে, আপনারা লোক পাঠাইয়া অাদণয় করিয়া লহ, অামাকে এ ৰূপে বন্ধ রাখিয়া ব্ৰহ্মহত্যা করিলে কি ফলোদয় হইবে ? এতদ্রুপ বিনয় বচনে প্রসন্ন হইয়া কারাধ্যক্ষ কহিলেন “ আমি এই দণ্ডেই তোমাকে গোপনে গোপনে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারি, কিন্তু তুমি কোন ভাবে কোন স্থানে প্রস্থান করিয়া নিস্তার পাইবে, সে বিষয়ের কিছু উপায় স্থির করিয়াছ ? এই রাজার অধিকার অনেক দূর পর্য্যন্ত, ইহার মধ্যে তুমি যেখানে থাকিৰে সেই খানেই বিপদ ঘটিতে পারে ; রাজা ও রাজকৰ্ম্মচারিয়া জানিতে পারিলে ভবিষ্যতে বিস্তর দুরবস্থা করিবেন।” ভারত উত্তর করিলেন “আমাকে এই যাতনাযুক্ত করাভুক্ত দায় হইতে মুক্ত করিলে আমি আর ক্ষণকালের জন্য এ অধিকারের ত্রিসীমানায় বাস করিব না। জলেশ্বর পার হইয়া “মারহাট্টার” অধিকারে গিয়া নিশ্বাস ফেলিব।” কাঁরাপালক অতিশয় দয়াদ্র চিত্ত হইয়। রাত্রি কালে অতি প্রচ্ছন্নভাবে তাহাকে নিস্কৃতি দিলেন। ভারতচন্দ্র “রঘুনাথ” নামক একটি নাপিত ভৃত্য সঙ্গে লইয়া মহারাষ্ট্ৰীয় অধিকারের প্রধান রাজধানী কটকে অগসিয়া “শিবভট্ট” নামক দয়াশাল স্ববাদারের আশ্রয় লইলেন, এবং আপনার সমুদয় অবস্থা নিবেদন করিয়া ঐঐ৮ পুরুষোত্তমধামে কিছুদিন বাস করণের গ্রার্থনা করিলেন ।—সুবেদার র্তাহার প্রতি প্রীতচি