পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ بالا ] সাধন প্রভৃতি ধৰ্ম্মাচরণ পরিত্যাগ করিয়াছি কিন্তু যে পৰ্য্যন্ত বিষয়কৰ্ম্ম দ্বারা অর্থ উপাৰ্জ্জন করিতে না পারিব সেপৰ্য্যস্ত কোনক্রমেই গৃহে গমন করিব না। । কয়েক দিবস পরে ভট্টাচার্য্য মহাশয় ভায়রাভাই ভারতকে সঙ্গে লইয়া তাজপুরের পাশ্বস্ব সারদ। গ্রামে স্বীয় শ্বশুর নরোত্তম আচার্য্যের ভবনে গমন করিলেন, আচার্য্য বহুকালের পর “হারানিধি” জামাতাকে প্রাপ্ত হইয়া আহলাদ-সাগরে নিমগ্ন হইলেন, মহা সমাদর পূর্বক স্নেহের ভাণ্ডার মুক্ত করিলেন। অন্তঃপুরে আনন্দ কোলাহল উত্থিত হইল, প্রতিবাসি ও প্রতিবাসিনী সক লে আহলাদচিত্তে দেখিতে আইলেন ।—ভারতচন্দ্র বিবাহ বাসর ব্যতীত অপর কোন দিবস আপনার প্রণয়িনী সহধৰ্ম্মিণীর সহিত অণর সাক্ষাৎ করেন নাই, ইহাতে সেই রজনীর সাক্ষাতে পরস্পর উভয়ের মনে যে প্রকার সন্তোষ, প্রেম, ভাব ও আর আর ব্যাপারের উদয় হইল, তাহ কি বাক্যে প্রকাশ করিব স্থির করিতে পরিলাম না । কয়েক দিবস শ্বশুর সদনে অশেষবিধ অণমোদ প্রমোদ করত আপনার স্ত্রীকে কহিলেন “ যদি আমার বাব। কিম্বা দাদার তোমাকে নিতে অাসেন, তবে তুমি কোনমতেই সেখানে যেওনা” এবং শ্বশুরকে কহিলেন “ মহাশয়! আপনার কন্যাকে আমারদিগের বাটতে কখনই পাঠাইয়া দিবেন না, যদবধি অণমি অর্থ অগনিয়া স্বতন্ত্রৰূপে স্বতন্ত্র স্থানে একখানি বাড়ী প্রস্তুত করিতে ন পারি, তদবধি এইখানেই রাখিবেন” এই