পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8> ) সেই সকল বিষয়ের মূল-ভাণ্ডার হইয়াছে। দেছ রোগক্রান্ত হইলে ইহার কিছুই হয় না, কিছুই হয় না, মনের মধ্যে কিছু ভাল লাগে না । কিছুতেই প্রবৃত্তি জন্মে না, কিছুতেই সুখের উদয় হয় না, বল, বিক্রম, বিদ্যা, বুদ্ধি, বিষয়, বিভব, সকলি মিথ্যা হয়, পরমেশ্বরের প্রতি যথার্থ ৰূপ ভক্তির স্থিরতা পৰ্য্যন্ত হইতে পারে না –হে রোগ ! কবি-কদম্বের কোমল কলেবর ভোগ করিয়া পবিত্র মনে বেদ না দিতে তোমার মনে কি কিঞ্চিম্মাত্র দয়ার উদ্রেক হয় না –হে কৃতান্ত ! তুমি-নিষ্ঠুরাচরণে নিতান্তই কি ক্ষান্ত হইবে না ? কবিকে অকালে দস্তশ্রেণীর অন্তর্গত করণের নিমিত্তই কি বিশ্বকান্ত অনন্তদেব তোমাকে নিৰ্ম্মণণ করিয়াছেন ? মরণের কিছুদিন পূর্বে ভারতচন্দ্র সংস্কৃত নাটকের পদ্ধতিক্রমে মহিষাসুরের যুদ্ধ বর্ণনা ছলে সংস্কৃত ও হিন্দি মিশ্রিত বঙ্গভাষায় “ চণ্ডী নাটক ” নামে এক গ্রন্থ রচনা আরম্ভ করেন, তাহার ভুমিকা ও যুদ্ধের আড়ম্বর মাত্র প্ররচনা করিয়াই মৃত্যুর গ্রাসে পতিত হইলেন . অণমরা অনেক যত্ন, অনেক পরিশ্রম এবং অনেক উপাসন করত সেই কয়েক পাত পুতি সংগ্রহ পুৰ্ব্বক মহানন্দে নিম্নভাগে প্রকটন করিলাম, কবিতা কুস্কমের । মধুপ স্বৰূপ পাঠকবৃন্দ মকরন্দপানে আনন্দ করিতে থাকুন।