পাতা:কবির প্রেম - শিবপদ চক্রবর্তী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রিবারোট যেতে হবে দেশে ফিরে। অমুখ শুনে ত আর খালি হাতে যাওয়া যায় না । মাসের শেষের দিকে হাতে পয়সাও নেই। তাই বন্ধুদের খোজে বেরিয়ে কিছু পয়সা ধার করে কিনে নেয় সামান্ত কিছু ফল। ষ্টেশনে এসে দেখলে গাড়ি ছাড়তে অল্প সময় বাকী আছে। তাই তাড়াতাড়ি একখানা টিকিট কেটে সে গাড়ীর এক ছোট কামরায় একটী ভদ্রলোকের পাশে বসল—ভদ্রলোকটী হয়ত এতক্ষণ বসে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ . পাশে সুকুমার এসে বসায় চোখ খুলে চাইলেন। পাছুটী একটু সরিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন—মশাই, কোথায় যাবেন ? মুকুমার তাকে জানালে–রপসা ইষ্ট। কিছুক্ষণ উভয়ে নীরব থাকার পর মুকুমার জিজ্ঞাসা করলে—কখন গাড়ীটা ছাড়বে? ভদ্রলোকটী বললেন –“বারোটায়। এমন সময় গাড়ী চলতে মুরু করলে আর দূরে গীর্জার ঘড়িটায় রাত্রি বারোটা জানিয়ে দিলে। সুকুমার একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জিজ্ঞাসা করলে— আপনার সঙ্গে ত পরিচয় হলো, কিন্তু নামটা এখনও ত জানা হলো না ? ভদ্রলোকটী বললেন—আমার নাম দীপক রায় । দীপক যে কেন এত মদ খায় তা হোটেলের মালিকের জানবার দরকার করেনি কোনদিন । সে জানে দীপক বাবু শিক্ষিত যুবক আর বড়লোকের ছেলে। রোজই সন্ধ্যার সময় নিজে গাড়ী চালিয়ে আসে, আর এক বোতল মদ শেষ করে রাত্রে ফিরে যায়। রোজকের রোজ খরচের পয়সা দিয়ে মাঝে —একষট্টি— r;