পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবী কিছ বিস্মিত হইল, না। এ খবর পাই নি ; কিন্তু হ’লো কি, বিরে ভেঙ্গে ୪୩୩ ? হাসিয়া কহিলাম, বিয়ে ভাঙ্গে নি, কিন্তু ভেঙ্গেছেন কালিদাসবাব-ববরের বাপ নিজে । পরের ভিক্ষের দানে ছেলে বেচে পণের কড়ি হাত পেতে নিতে তিনি লক্ষজা পেলেন। আমিও বেচে গোলাম । এই বলিয়া ব্যাপারটা সংক্ষেপে বিবত করিলাম। বৈষ্ণবী সবিস্ময়ে কহিল, বল কি গো, এ যে অঘটন ঘটলো। বুলিলাম, ঠাকুরের দয়া । শািন্ধ কি গহরগোঁসাইজই অন্ধকারে পচা নদীর জলে DDB DBDS DBB BBDBBB BBBE BDDBD DDD DB S DDD DDDD D BBBOB পৰে কি করে বলো ত ? বলিয়াই কিন্তু বৈষ্ণবীর মািখ দেখিয়া ব্যঝিলাম কথাটা আমার ভালো হয় নাই-মাত্রা ছাড়াইয়া গিয়াছে। বৈষ্ণবী, কিন্তু প্ৰতিবাদ করিল না, শধ হােত তালিয়া মন্দিরের উদ্দেশ্যে নিঃশব্দে নমস্কার করিল । যেন অপরাধের মাৰ্জনা ভিক্ষা করিল। সম্মখে দিয়া একজন বৈষ্ণবী মস্৩ একথালা লাচি লইয়া ঠাকুরঘরের দিকে গেল । দেখিয়া কহিলাম, আজ তোমাদের সমারোহ ব্যাপার । বোধ হয় বিশেষ কোন পবদন-না ? বৈষ্ণবী কহিল, না, আজ কোন পাবদিন নয় । এ আমাদের প্রতিদিনের ব্যাপার, ঠাকুরের দয়ায় অভাব কখনো ঘটে না । কহিলাম, আনন্দের কথা, কিন্তু আয়োজনটা বোধ করি রাত্রেই বেশি করে করতে বৈষ্ণবী কহিল, তাও না । সেবার সকাল-সন্ধ্যা নেই, দয়া করে যদি দদিন থাকো নিজেই সব দেখতে পাবে । দাসী আমরা, ওঁর সেবা করা ছাড়া সংসারে আর ত আমাদের কোন কােজ নেই। এই বলিয়া সে মন্দিরের দিকে হাতজোড় করিয়া আন্ন একবার নমস্কার করল । জিজ্ঞাসা করিলাম, সারাদিন কি তোমাদের করতে হয় ? বৈষ্ণবী কহিল, এসে যা দেখলে, তাই । কহিলাম, এসে দেখলাম বাটনা বাটা, কুটনো কোটা, দধি জ্বালা দেওয়া মালা গাঁথা, কাপড় রং করা-এমনি অনেক কিচ্ছ । তোমরা সারাদিন কি শষ্য এই করো : বৈষ্ণবী কহিল, হাঁ, সারাদিন শােধ এই করি। কিন্তু এসব ত কেবল ঘর-গহস্থালীর কাজ, সব মেয়েরাই কবে । তোমরা ভজনসাধন করে কখন ? বৈষ্ণবী কহিল, এই আমাদের ভজন-সাধন । এই রাধাবাড়া, জল-তোলা, কুটনো-বাটনা, মালা-গাঁথা, কাপড়-ছাপানো-একেই বুঢ়লা সাধনা ? বৈষ্ণবী বলিল, হাঁ, একেই বলি সাধনা ৷ দাস-দাসীর এর চেয়ে বড় সাধনা আমরা পাব কোথায় গোঁসাই ? বলিতে বলিতে তাহার সজল চোখ দুটি ফেন অনিবাচনীয় y