পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়িম্বর টাকুকড় বিষয়-আশয় মান-সম্প্রম এসকল আমার কাছে ছায়াময়। অপরের দেখাদেখি নিজের জড়ত্বকে যদিবা কখনো কত ব্যবন্ধির তাড়নায় সচেতন করিতে যাই, অচিরকাল মধ্যেই দেখি আবার সে চোখ বজিয়া ঢলিতেছে-শত ঠেলাঠেলিতেও আর গা নাড়িতে চাহে না । শােধ দেখি, একটা বিষয়ে তন্দ্ৰাতুর মন কলরবে তরঙ্গিত হইয়া উঠে, সে ঐ মারারিপরের দশটা দিনের সমিতির আলোড়ন। ঠিক যেন কানে শনিতে পাই বৈষ্ণবী কমললতার সন্নোহ অন্যুরোধ-নিতান গোঁসাই একটি করে দাও না ভাই । ঐ যাঃ--সব নন্ট ক’রে দিলে ? আমার ঘাট হয়েছে গো, তোমায় কাজ করতে ব’লে- নাও ওঠে। পদ্মা পোড়ারমখী গেল কোথায়, একটু জল চড়িয়ে দিক না, চা খাবার যে তোমার সময় হয়েছে গোঁসাই । সেদিন চায়ের পাত্ৰগলি সে নিজে ধাইয়া রাখিতে পাছে ভাঙে। আজ তাহদের প্রয়োজন গিয়াছে ফুরাইয়া, তথাপি কখনো কাজে লাগার আশায় কি জানি সেগলি সে যত্নে তুলিয়া রাখিয়াছে কিনা। জানি সে পালাই পালাই করিতেছে। হেতু জানি না, তব মনে সন্দেহ নাই মারারিপর আশ্রমে দিন তাহার প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত হইয়া আসিতেছে। হয়ত, একদিন এই খবরটাই অকস্মাৎ আসিয়া পৌছিবে ! নিরাশ্রয়, নিঃসম্পবল, পথে পথে সে ভিক্ষা করিয়া ফিরিতেছে মনে করিলেই চোখে জল আসিয়া পড়ে । দিশেহারা মন সান্তনার আশ্রয় ফিরিয়া চাহে রাজলক্ষীর পানে । সকলের সকল শােভ-চিন্তায় অবিশ্রাম কমে নিযক্ত-কল্যাণ যেন তাহার দই হাতের দশ অঙ্গলি দিয়া অজস্রধারায় বাড়িয়া পড়িতেছে। সম্প্রসন্ন মখে শান্তি ও পরি-তৃপ্তির দ্মিন্ধ ছায়া ; কারণায় মমতায় হৃদয়-যমােনা কলে কলে পৰ্ণ -নিরবচ্ছিন্ন প্রেমের সর্বব্যাপী মহিমায় আমার চিত্ৰলোকে সে যে-আসনে অধিষ্ঠিত, তাহার তুলনা করিতে পারি। এমন কিছুই জানি না । বিদাষী সনন্দার দানিবাৰ্য প্রভাব সবলপকালের জন্যও যে তাহাকে বিভ্রান্ত করিয়াছিল, ইহারই দুঃসহ পরিতাপে পানরায় আপনি সত্তাকে সে ফিরিয়া পাইয়াছে। একটা কথা সে আজও আমাকে কানে কানে বলে, তুমি কমনওগো, কম নও। তোমার চলে যাবার পথ বেয়ে সবসব যে আমার চোখের পলকে ছটে পালাবে, এ কে জানতো, বলো ? উঃ-সে কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার, ভাবলেও ভয় হয়। সে দিনগালো আমার কেটেছিল কি ক’রে ? দম বন্ধ হয়ে ম’রে যাইনি এই আশচষ্য। আমি উত্তর দিতে *ान्नि ना, अश्, नौव्राव फ्राश्खाि थाकि । আমার সম্পবন্ধে আর তাহার ব্রেটি ধরিবার জো নাই। শতকমের মধ্যে শতবার অলক্ষ্যে আসিয়া দেখিয়া যায় । কখনো হঠাৎ আসিয়া কাছে বসে, হাতের বইটা সারাইয়া দিয়া বলে, চোখ বজে একটুখানি শহয়ে পড়তো, আমি মাথায় হাত বলিয়ে দিই। অতো পড়লে চোখ ব্যথা করবে। যে ৷ আনন্দ আসিয়া বাহির হইতে বলে, একটা কথা জেনে নেবার আছে-আসতে of fiks ? রাজলক্ষী বলে, পারো । তোমার কোথায় আসতে মানা আনন্দ ? SOS