পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবী কহিল, কি গোঁসাই, কথা কও না যে ? বলিলাম, ভাবচি।

  • oso esKGT ?

ভাবচি তোমাকেই । ইস । বড় সৌভাগ্য ষে আমার! একটু পরে কহিল, তত্ত্বও থাকতে চাও না, কোথায় কোন বিমাদের দেশে চাকরি করতে যেতে চাও । চাকরি করবে। কেন ? বলিলাম, আমার ত মঠের জমিজমাও নেই, মন্বন্ধ ভক্তের দলও নেই-খাবো কি ? ঠাকুর দেবেন। কহিলাম, অত্যন্ত দরাশা ; কিন্তু তোমাদেরও ধোঁ ঠাকুরের ওপর খাব ভরসা তাও ত মনে হয় না । নইলে ভিক্ষে করতে যাবে কেন ? বৈষ্ণবী কহিল, যাই তিনি দেবার জনো হাত বাড়িয়ে দোরে দোরে দাঁড়িয়ে থাকেন। বলে । নইলে নিজেদের গরজ নেই, থাকলে যেতম না, না খেয়ে শকিয়ে মরলেও না । <ßosovo (Köpfs (qol) Coos{3 ? কালকেই ত বলেছি গোঁসাই, ঘর আমার গাছতলায়, দেশ আমার পথে পথে । তাহলে গাছতলায় আর পথে পথে না থেকে মাঠে থাকো কিসের জন্যে ? অনেকদিন পথে পথেই ছিলাম গোঁসাই, সঙ্গী পাই ত আবার একবার পথই সবল दोन्न ! বলিলাম, তোমার সঙ্গীর অভাব এ কথা ত বিশ্ববাস হয় না। কমললতা । যাকে ৬াকবে সেই ষে রাজি হবে । বৈষ্ণবী হাসিমখে কহিল, তোমাকে ডাকচি নাতনগোঁসাই।--রাজি হবে ? আমিও হাসিলাম, বলিলাম, হ্যাঁ রাজি । নাবালক অবস্থায় যে লোক যাত্রার দলকে ভন্ন করে নি, সাবালক অবস্থায় তার বোন্টামীকে ভয় কি ? যাত্রার দলেও ছিলো নাকি ? তাহলে ত গান গাইতেও পারো f না, অধিকারী অতটা দরে এগোতে দেয় নি, তার আগেই জবাব দিয়েছিল। ভূমি অধিকারী হলে কি হতো বলা যায় না । বৈষ্ণবী হাসিতে লাগিল, বলিল, আমিও জবাব দিতুম ! সে যাক, এখন আমাদের একজন জানলেই কাজ চলে যাবে। এদেশে যেমন-তেমন করেও ঠাকুরের নাম দিতে পারলে ভিক্ষের অভাব হয় না । চলো না গোঁসাই, বেরিয়ে পড়া যাক। বলছিলে শ্ৰীবান্দাবনধাম কখনো দেখো নি, চলো তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসি। অনেকদিন ঘরে বসে কাটলো, পথের নেশা আবার ফেন টানতে চায়। সত্যি, যাবে নভনগোঁসাই ? হঠাৎ তাহার মাখের পানে চাহিয়া ভারি বিস্ময় জন্মিল, কহিলাম পরিচয় তা এখনো আমাদের চব্বিশ ঘণ্টা পার হয় নি, আমাকে এতোটা বিশ্ববাস হলো কি করে ? বৈষ্ণবী কহিল, চব্বিশ ঘণ্টা ত কেবল এক পক্ষেই নয় গোঁসাই, ওটা দােপক্ষেই। S