পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

世豆研 时 ওগো, ওঠে, কাপড় ছেড়ে মাখ-হাত ধোও-রাতন চা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যে । আমার সাড়া না পাইয়া রাজলক্ষমী পােনরায় ডাকিল, বেলা হলো-কত ঘমোবো ? -পােশ ফিরিয়া জড়িতকণ্ঠে বলিলাম, ঘমোতে দিলে কই ? এই ত সবে मीछि ! কানো গেল টেবিলের উপর চায়ের বাটিষ্টা রতন ঠিক করিয়া রাখিয়া দিয়া বোধ হয়। লঙ্গজায় পলায়ন করিল। রাজলক্ষী বলিল, ছিছি, কি বেহায়া তুমি । মানৱষকে মিথ্যে কি অপ্রতিভ করতেই পারো ! নিজে সারারাত কুম্ভকণের মতো ঘমোলে, বরঞ্চ আমিই জেগে বসে। পাখার বাতাস করলাম পাছে গরমে তোমার ঘােম ভেঙে যায়। আবার আমাকেই এই কথা ! ওঠা বলছি, নইলে গায়ে জল ঢেলে দেবো । উঠিয়া বসিলাম ! বেলা না হইলেও তখন সকাল হইয়াছে, জানালাগলি খোলা, সকালের সেই স্নিগ্ধ আলোকে রাজলক্ষীর কি অপরাপ মাতিই চোখে পড়িল। তাহার স্নান, পাজা-আহ্নিক সমাপ্ত হইয়াছে, গঙ্গার ঘাটে উড়ে-পান্ডার দেওয়া শেবত ও রান্তচন্দনের তিলক তাহার ললাটে, পরনে নািতন বাণারসী শাড়ি, পাবের জানালাদিয়া এক টুকরা সোনালী রোদ আসিয়া বাঁকা হইয়া তাহার মাখের একাধারে পড়িয়াছে, সলজ কৌতুকের চাপা-হাসি তাহার ঠোঁটের কোণে, অথচ কৃত্রিম ক্ৰোধে আকুঞ্চিত ভ্ৰম-দটির নীচে চঞ্চল চোখের দটি যেন উচ্ছল আবেগে ঝলমল করিতেছে-চাহিয়া আজও বিস্ময়ের সীমা রহিল না । সে হঠাৎ একটুখানি হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, কাল থেকে কি অতো দেখাচে বলো ত । কহিলাম, তুমিই বলো ত কি অতো দেখচি ? রাজলক্ষী আবার একটু হাসিয়া বলিল, বোধ হয় দেখচো এর চেয়ে পটু, দেখতে ভাল। কিনা, কমললতা দেখতে ভাল কিনা-না ? বলিলাম না। রাপের দিক দিয়ে কেউ তারা তোমার কাছেও লাগে না, এমনিই বলা যায় । অতো ক’রে দেখতে হয় না । রাজলক্ষী বলিল, সে যাকগো ; কিন্তু গণে ? গণে ? সে বিষয়ে অবশ্য মতভেদের সম্পভাবনা আছে তা মানতেই হবে। গণের মধ্যে ত শািনলাম কেক্তন করতে পারে। হাঁ, চমৎকার । চমৎকার-ত বিকালে কি করে ?