৩২
কমলাকান্তের দপ্তর।
যদি তিনি প্রকৃত দোষযুক্ত ব্যক্তি হয়ে, তবে তাহার দোষকীর্ত্তন করাকে নিন্দা বলে। আর তিনি যদি দোষ যুক্ত না হয়েন, তবে তাঁহার দোষকীর্ত্তনকে স্পষ্টবক্তৃত্ব অথবা রসিকতা বলে। গুণ পক্ষে, তিনি যদি গুণহীন হয়েন, তবে তাহার গুণকীর্ত্তনকে ন্যায়নিষ্ঠতা বলে। আর যদি তিনি যথার্থ গুণবান্ হয়েন, তবে তাঁহার গুণকীর্ত্তনকে উপাসনা বলে।
৫। “বল”—দীর্ঘচ্ছন্দ বাক্য-মুখ চক্ষুর আরক্তভাব—ঘোতর ডাক, হাঁক,—মুখ হইতে অনর্গল, হিন্দী, ইংরেজি এবং নিষ্ঠীবনের বৃষ্টি,—দূর হইতে ভঙ্গী দ্বারা কিল, চড়, ঘুষা, এবং লাথি প্রদর্শন ও সার্দ্ধ তিপ্পান্ন প্রকার অন্যান্য অঙ্গভঙ্গী—এবং বিপক্ষের কোন প্রকার উদ্যম দেখিলে অকালে পলায়ন ইত্যাদিকে বল বলে।
বল ষড় বিধ, যথা:—
মৌখিক—অভিসম্পাত, গালি, নিন্দা প্রভৃতি।
হাস্ত—কিল, চড়, প্রদর্শন প্রভৃতি।
পাদ—পলায়নাদি।
চাক্ষুষ—রোদনাদি। যথা, চাণক্যপণ্ডিত,—“বালানাং রোদনং বলং” ইত্যাদি।
ত্বাচ—প্রহার সহিষ্ণুতা ইত্যাদি।
মানস—দ্বেষ, ঈর্ষা, হিংসা প্রভৃতি।
৬। “প্রতারণা”—নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের পৃথিবীমধ্যে প্রতারক বলিয়া জানিও,
এক, পণ্যাজীব। প্রমাণ—দোকানদার জিনিষ বেচিয়া,