পাতা:কমলা কাননে কলমের চারার আঁটী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ぐう কমলা কাননে ঠাকুরের মন্দিরে তত্ত্বানুসন্ধান লই । র্তার সঙ্গে দেখা হইলেই ত ছোট মা বড় মা, কে কোথায় সকলেরই সন্ধান পাইব । (কিঞ্চিৎ ভবিয়া ) সেই ভাল. মিথ্য অকারণ আর চিন্তা করিব .না ! যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত বড় মার সহিত সাক্ষাৎ না হচ্চে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধা তৃষ্ণার প্রতিকারের আর কোনও উপায় হচ্চে না । যাই আর বসিয়া থাকিব না, কৰ্ত্তাটারই অনুসন্ধান করি (ইতস্ততঃ অনুসন্ধানের পর ) এই ত কৰ্ত্তা ঠাকুরের মন্দিরই বোধ হচে । কোনদিক দিয়া মন্দিরে প্রবেশ করিয়া সাক্ষাৎ করি, সাক্ষাৎ করিয়া সকলের কুশল জিজ্ঞাসা করি । কই পথ পাইনে যে, যেদিকে পা দেই সেইদিকেই কণ্টক কীর্ণ। তা এখানে দাড়িয়াই একবার ডাকি । ( কিঞ্চিৎ অন্তরে দণ্ডায়মান হুইয়। ) বাবাঠাকুর কোথায় গো,বলি ও বাবাঠাকুর । ( পুনরায় ) বাবা ঠাকুর শুনচ গা । ( নিরুত্তর ) এখানেও বুঝি ছোট মার মত হয় । ( কিঞ্চিত ভাবিয়া ) একবার ভাল করে ডাকি । ( উচ্চৈঃস্বরে ) বলি ৰাবাঠাকুর ঘরে অাছেন গা, ও বাবাঠাকুর শুনতে পাচ্চেন । ( বিরক্ত ভাবে ) আঃ আমার রৌদ্রে দাড়িয়ে মাতার চাদি ফেটে গেল, উনি কিনা ছায়ায় বসে মজা দেখচেন । আরে আমি জানি তুমি বড় মজা দেখা ঠাকুর । তুমি এক ডাকে ত কখন কারুকেই উত্তর দাওনা । চেচিয়ে চেচিয়ে গল চিরে মা গেলে আর তোমার উত্তর পাওয়া যায় না । ( পুনরায় )