পাতা:কমলা কাননে কলমের চারার আঁটী.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b" কমলা কাননে বিধাতঃ আমার অদৃষ্টে কি এই লিথিয়াছিলে, অথবা আমাকে শেষ কালে, এই কাননায়িতে দগ্ধ করিবে বলিয়াই কি আমার স্বষ্টি করিয়াছিলে। আঃ এ যন্ত্রণ ত আর সহ্য হয় না । উঃ এ উত্তাপ ত আর বরদস্ত হয় না। বসুমতী ! তুমি দ্বিধা হও, আমি তোমাতে প্রবেশ করি। রত্নাকর! তুমি আমার এই কানন, এখন রসাতলে দাও, তাহা হইলেই আমি আবার শীতল হই। ঘম! তুমিও কি আমাকে ভুলিয়া রহিলে ? নারদ । নারায়ণ নায়ায়ণ! গোবিন্দ গোবিন্দ ! উঃ কি ক্লেশ কি যন্ত্রণা কি কষ্ট । এ ত আর চক্ষে দেখা যায় না। একটা মেয়ে মানুষের উপর এত অত্যাচার, এত পীড়ন, এত নিষ্ঠুরতা আহাহা, এ প্রত্যক্ষ করিলে যে বুক ফেটে যায় ইন্দ্রির অবশ হইয়া আইসে ও যার পর নাই পাষাণও দ্রবীভূত হইয়া যায়। এদেশে কি রাজা নাই অথবা এই মেয়ে রাজার দেশে, মেয়ে মানুষের উপর এত অত্যাচার, এত পীড়ন ও এত নিষ্ট: রত। তাহার কোনও খবরই নাই। না এদেশে কোনও ভদ্রলোক নাই, না এদেশের লোকদিগের কোনও দয়া নাই, মায়া নাই, ন। ন্যায় অন্যায় বিবেচনা নাই যে এই অনাথিনী স্ত্রীলোকটীর উপর এত অত্যাচার, এবং এত পীড়ন। ও কমলার এত দিনের কাননটা এখন একেবারে বেজায় হয়ে গেল গ| কি দুঃখ কি দুঃখ। কতক গুল জানোয়ারে মিলেই একেবারে ছার খার কল্পে । আ মরি মরি মরি! ! ! তাহার অহরহ এই সকল