পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা সূৰ্য্যনারায়ণ প্ৰথমে কিছু বিস্মিত হইলেন । এত রাত্ৰিতে লোহার সন্দুকে কি ! কিন্তু পরীক্ষণেই তাহার মনে পড়িল, কমলার অঙ্গে একখানি ও অলঙ্কার নাই। তিনি যেন কিছু অপ্ৰতিভ হইয়া বলিলেন, * এই যে আমি বার ক’রে দিচ্ছি, মা !” কমলা, দুঃখের উপরে লজ্জা পাইয়া গহনার বাক্সটি আনিয়া, নীরবে: ধরাজের সম্মুখে ধরিয়া দিল। বিরাজ মাতৃদত্ত ফৰ্দের সঙ্গে মিলাইয়া গঙ্গানাগুলি রুমালে বাধিয়া লইয়া, চলিয়া যাইতে উদ্যত হইলে কমলা তাঙ্গার পথরোধ করিয়া দাড়াইয়া বলিল, “এই রাত্ৰিতে অসুখ নিয়ে মাঠের পথে কি না গেলেই নয় ?” বিরাজ। না গেলে যে মা রাগ ক’রবেন, কমলা ! “তবে আর কি ব’লাব”-বলিয়া, কমলা একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া, বাষ্পাকুলনেত্রে বিরাজের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, ”আচ্ছা-আসতেই না হয় দোষ, পত্র লিখতে কি দোষ ?-- এমনি কি অপরাধ ! সবার সব দোষের ক্ষমা আছে, আমার এ তুচ্ছ অপরাধের ক্ষমা নেই? নাই থােক-তুমি ব'লে যাও যে, আমার ওপরে 1াগ কর নি,-আমাকে ভুলে যাবে না-যেমন ভাল বাসতে তেমনি বাসবে!” অনেক সময়ে দেখা যায় আকাশে জলে ভরা মেঘ জমিয়া আছে, কিন্তু । এক ফোটাও বৃষ্টি হইতেছে না ; সেই সময়ে যেমন দুই একটা বিদ্যুৎ উঠিয়া থাকে অমনি তাড়, তাড়া করিয়া বৃষ্টি নামিতে থাকে। বিরাজের পদয়েও অনেকক্ষণ হইতেই একখানা অশ্রুভরা মেঘ উঠিয়া বর্ষণের সুযোগ পূজিতেছিল। নিজের দুৰ্বলতাটুকু ঢাকিয়া লইয়া পলাইবার ইচ্ছায় সে এতক্ষণ এদিকে ওদিকে চাহিয়া কথা কহিতেছিল, কিন্তু শেষরক্ষা করিতে [ ቅ¢