পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাম্বন তাহা বৰ্ণনার নহে, অনুভূতির। বিরাজ ও কমলা পরস্পরের গাঢ় আলিঙ্গনের মধ্যে এই দুঃখের সুখই উপভোগ, করিতেছিল। সম্মুখে যাহাদের প্রচণ্ডরৌদ্রতপ্ত দীর্ঘ মরুপথ, তাঙ্গারা যেমন ক্ষণকালের জন্যও শীতল ছায়া পাইলে তাহা ছাড়িতে চাহে না, ইহারাও তেমনি অচিরভাবী দীর্ঘবিরহের আশঙ্কায় এই ক্ষণিক लिনের সুখও ছাড়িতে চাহিতেছিল না। দালানের ঘড়িটা টং টং করিয়া অনেক বার বাজিয়া তাহাদের এ সুখ সম্ভোগেও অন্তরায় হইল। " কমলাই প্ৰথমে মুখ তুলিল এবং ধীরে ধীরে আপনাকে বিরাজের বাহুবন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া অঞ্চলে চক্ষু মুছিয়া বলিল,— “কেঁদো না! শান্ত হও! ছি:! তুমি বিদ্বান, তুমি ধীর, তুমি পুরুষ ; তুমি যদি এমন অধীর হও, আমি কি ক’রে ধৈৰ্য্য ধরি ?” ... " বিরাজ চক্ষু মুছিতে মুছিতে গহনার পুটলি শয্যার উপরে ফেলিয়া গভীরভাবে বলিল, “না, আর কঁদব না, কমলা। — অনেক ভেবেছি, অনেক কেঁদেছি ;-আজি তার শেষ। পত্ৰ লিখতে কি লুকিয়ে এসে তোমারপ্রসঙ্গে দেখা ক’রে যেতে কে আমাকে মানা ক’রে রাখবে ? কিন্তু, সে লুকোচুরি কেন ? বাবা যদি তোমাকে নিয়ে সংসার না করেন, তবে আমাকেও ত্যাগ করুন! স্বামীর কৰ্ত্তব্য পালনে যদি আপুণ্য হয়, ধৰ্ম্মপত্নীকে অকারণে ত্যাগ না করলে যদি অধৰ্ম্ম হয়, তবে পুণ্যে ও ধৰ্ম্মে আমার প্রয়োজন নেই। যে বাড়ীর লোক সন্তানের মুখ চায় না, যে সমাজ পরের ঃখ বােঝে নৃ", সে বাড়ীতে সে ‘ৰাছে আমাদের থাকুবার দরকার . কি ? ৰচিল আমরা কোন অজানা দূর দেশে গিয়ে ঘর বাঁধি ! se