পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभन्नता। তাহাকে ফিাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল । নিয়ত সে তাহার শয্যাপাশ্বে বসিয়া থাকে, দিন রাত্রির মধ্যে একবারও অধিকক্ষণের জন্য র্তাহার কাছছাড়া হয় না। সুৰ্য্যনারায়ণ যদি বুঝাইয়া তাহাকে খাইতে পাঠাইয়া দেন, সে ভাতে হাত দিয়াই চোখ মুছিতে মুছিতে উঠিয়া পড়ে। শয্যাপাশ্বে বসিয়া ঘুমে ঢলিতে দেখিয়া যদি তিনি তাহাকে শুইতে বলেন, সে র্তাহার পায়ের কাছটিতে মাথা রাখিয়া একটু শুইয়াই তখনি উঠিয়া বসে। সদা সর্বদাই তাহার স্বচ্ছন্দ বিধানের চেষ্টা লইয়া থাকে, ঔষধটুকু ঠিক দাগমত। ঢালিয়া স্বহস্তে র্তাহার মুখে ঢালিয়া দেয়, সবটুকু মুখে পড়িল কি না দেখে, আর স্থাবর অস্থাবর যাহা কিছু আছে সব বেচিয়া কলিকাতা হইতে ভাল ডাক্তার আনিবার জন্য প্রাচীন প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুক্তি করে। সূৰ্য্যনারায়ণ তাহাতে বাধা দিয়া তাহা করিতে দেন না । মুমুনুর শয্যাপার্শ্ব যেন কি একটা পবিত্র সুরক্ষিত তীৰ্থ! সেখানে কাহারও লজ্জাসরাম থাকে না। কমলা পূৰ্ব্বে যাহাঁদের সমক্ষে বাহির হইতে চাহিত না, এখন তাহারা আসিলেও সে আপনার স্থানটি ছাড়িয়া উঠিয়া যায় না, মাথায় কাপড়টি একটু টানিয়া দিয়া নতমুখে বসিয়া থাকে, যে যাহা বলে কাণ পাতিয়া তাহা শুনিতে থাকে, আর সকলে চলিয়া গেলে সূৰ্য্যনারায়ণকে লুকাইয়া নীরবে অশ্রমোচন করে। উকীল মোক্তারেরা যেমন মোকদ্দমার কোন অবস্থাতেই হার হইবে এ কথা মকেলকে জানিতে দেয় না, অনেক ডাক্তার কবিরাজেও তেমনি রোগীর আসন্ন মৃত্যুকালেও তাহার প্রকৃত অবস্থা গৃহস্থকে বুঝিতে দেয় না । কিন্তু রোগেরই এমন একটা অবস্থা আছে যখন ডাক্তার বা কবিরাজ না বলিলেও রোগী এবং তাহার আত্মীয়গণ বুঝিতে পারে যে, পরস্পরের চিরবিরহ অবশ্যম্ভাবী ও অচিরভাবী। সূৰ্য্যনারায়ণ রোগের সেই অবস্থায় do R]