পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা পরিশ্রমে ঘৰ্ম্মাক্তিদেহ হইয়া গায়ে মাথায় ধূলা ও ঝুল মাখিয়া তাহা লইয়াই বিব্রত আছে, সেই সময়ে কে বাহিরের দরজা ঠেলিয়া তাহাকে ডাকিল । কমলা শুনিতে পাইয়া ঘরের বাহিরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?" . .. উত্তর হইল, “আমি গো মা ! দ্বারটা একবার খুলে দাও ত!” কমলা কণ্ঠস্বরে বুঝিল, আগন্তুক তাহার পিতার গুরুপুত্র কেনারাম চূড়ামণি। সে আঁচলটা কোমরে জড়াইয়া বাধিয়া কাজ করিতেছিল ; তাড়াতাড়ি তাহা খুলিয়া মাথায় একটু তুলিয়া দিয়া, আসিয়া দ্বার খুলিয়া দিল এবং চূড়ামণি ভিতরে প্রবেশ করিলে তঁহাকে প্ৰণাম করিয়া বসিতে আসন পাতিয়া দিল । চূড়ামণি বলিলেন, “এখন আর বসা হবে না মা ! তোমাকেও এখনি একবার আমার সঙ্গে যেতে হ’চ্ছে -তোমার শ্বশুর তোমার সঙ্গে দেখা ক’রতে এসেছেন ; কি বিশেষ কথা আছে।” এ অভাবনীয় সংবাদে কমলা যেন উচ্চ - আকাশ হইতে একেবারে পাতালে পড়িয়া গেল। সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় তিনি ?” চূড়ামণি। এই যে এই পঞ্চানন তলায়। কমলার প্রদেশ কুঞ্চিত হইল। একটু ভাবিয়া বলিল,-“তা সেখাh> কেন ? আমাদের বাড়ীতে এলেও কি তঁাকে একঘোরে। হ’তে হবে ?” চূড়ামণি হাসিয়া বলিলেন, “তা নয়, তা নয় ;-কি জান, যাওয়া আসা ত বড় নেই, তাই একবারে বাড়ীতে আসতে পারছেন না।--আর লোকটা মানী, কে কি ব’লবে তাও বটে।” দেবতার স্থানে আর কারু কোন কথা বলবার নেই।” । " • : SSX