পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

up ব’সেছে। দু-এক পুত্র, না গৃহী না। উদাসীন। ভাইপো ত অনেক দিন থেকেই বাড়ী ছেড়ে গেছে। তোমার শাশুড়ী একেই ত সে কেমন একতর, তা”তে আবার বিরাজের এই রকম ভাবে সে যেন একবারে ক্ষ্যাপা হ’য়ে উঠেছে। স্বৰ্গে পিতৃপুরুষেরাও পিণ্ড লোপের আশঙ্কায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন। আর কটি বলি বল ।” কমলা ছল ছল চক্ষে নিয়ে চাহিয়া ঈষৎ একটু কম্পিত কণ্ঠে বলিল, “আমিই যদি আপনাদের সবার সব দুঃখের মূল হ’য়ে থাকি। তবে যাতে আমার মরণ হয় এমন কিছু বিহিত করুন ! আমি আত্মঘাতিনী না হ’য়ে ম’রতে প্ৰস্তুত আছি ; কিন্তু যাতে দুনাম, যাতে জন্মের মত স্বামীর মনের বা’র হ’য়ে যেতে হবে, আমাকে তেমন কিছু ক’রতে আজ্ঞা ক’ৰেন না ।” চূড়ামণি যেভাবে নীলকমলের দিকে চাহিলেন, তাহার অভিপ্ৰায় যেন সেই রকমেই কিছু একটা করা হয়। যে নীলকমল এক রাত্রির মধ্যে মানুষের বহুদিনের বাস তুলিয়া দিয়া তাহার উপরে পুকুর কাটাইয়া বাসের চিহ্ন পৰ্যন্ত বিলুপ্ত করিয়া দিয়াছেন এবং বিবাদী পুকুর রাত্রির মধ্যে বুজাইয় তাহার উপরে কলার বাগান বসাইয়া পুলিশের তদন্ত ব্যর্থ করিয়া দিয়াছেন, একটা অসহায় অবলার অস্তিত্ববিলোপ করা তাহার পক্ষে দুষ্কর কিছুই নহে। তঁহার বোধ হয় সেরূপ কোন অভিপ্ৰায় ছিল না। তিনি কিছুক্ষণ নীরবে বসিয়া একটু গভীরভাবে বলিলেন, "দেখ বাছা ! জোর জবরদস্তির কথা নয়,-তোমার ইচ্ছে! তোমার স্বামীর আর স্বামিকুলের হিতের জন্যেই আমি একথা বলছি; আমার আর কি ? তুমি যদি সে হিত না চাও, বল, ফিরে যাই ;-আর কি क'द्रव ।* (SS9