পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| manung নিকটে আসিয়া সেই বেলার মত দুটি চাউল ধার চাহিল। তিনি কপাল। কুঞ্চিত করিয়া সুর টানিয়া টানিয়া বলিলেন,-“কালই যদি দিয়ে যেতে পার - ত নিয়ে যাও,-ধার দিয়ে ফেলে রাখবার মত আমার নেই বাছা ।” তরঙ্গিণী বলিল, “দেব যে তা বলতে পারি। কাকী-মা ! কিন্তু কালই যে পারব তা বলতে পারি না।” কাত্যায়নী তাহাতে রাজী হইলেন না ; সুতরাং তরঙ্গিণীকে ফিরিয়া আসিতে হইল । বেলা যতই বাড়িতে লাগিল, তরঙ্গিণী ততই যেন অন্ধকার দেখিতে লাগিল। বেলার সঙ্গে সঙ্গে ছেলে মেয়েদের পেটে ক্ষুদার আগুন জ্বলিয়া উঠিল ; কিন্তু তবুঙ্গিণী উনন জালিবার কোন উপায়ই করিতে পারিল না। বালকটি অবোধ, সে ‘‘ভাত’। ‘ভাত’ করিয়া মাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া এবং শেষে কঁাদিতে আরম্ভ করিল। তরঙ্গিণী রাগ করিয়া তাহার পিঠে দুইটা চাপড় মারিয়া বলিল, “হাভাতের ঘরে এসে জন্মেছিস ভাত কোথা পাবি ?-ভাত ভাত ক’রে যেন পাগল ক’রে তুলেছে!—তোরা আগে মর, তাহ’লে আমিও ম’রে জুডুতে পাই।” চাপড় থাইয়া বালকের ক্ষুধানিবৃত্তি হইল না, ভৎসনাতেও তাহার কান্না বন্ধ হইল না, পেটের জ্বালার সঙ্গে পিঠের জ্বালা মিলিয়া তাহার কান্নার সুরটাকে শুধু বাড়াইয়া তুলিল । তরঙ্গিণীও মাটীতে পড়িয়া চােখের জলে মেজের ধূলা ভিজাইতে আরম্ভ করিল। মেয়েটির নাম পারুল। বয়স তাহার এই আট বৎসর । শুধু নামে নয়, রূপেও যেন সে ঐ নামের ফুলটির মত। খাওয়া, হইবে না বুঝিয়া সে বইখানি লইয়া একপাশে বসিয়া ছিল। প্রত্যহ সে সরযুর সঙ্গে খেলা করিতে যায়, আজ কি ভাবিয়া গেল না । আহারের বেলা ) sy