পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা আসিয়াছে ? সে ভাবিতে ভাবিতে উঠিয়া নির্বাণোন্মুখ দীপটাকে একটু উজ্জল করিয়া দিয়া দ্বার খুলিয়া বাহির হইল। তরঙ্গিণী নীরব। বিরাজ ও যেন কি কথা কহিবে ভাবিয়া পাইতেছে না। একটু পরে তরঙ্গিণীই ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিল,-“কখন এসেছ ?” তাহার মুখে এত অল্প কথা বিরাজ আর কখন শুনে নাই ; তাতে একটা কি ছিল তাহা দ্বারের নিকটে নামাইয়া রাখিয়া বলিল, “আমি তোমার বুদ্ধিবিবেচনা ভাল ব’লেই জানতুম বউঠাকুরুণ! আজি থেকে বুঝলুম স্ত্রীলোকের সে সব হয় না।” তরঙ্গিণী । কেন ঠাকুরপো ? বিরাজ। সন্ধ্যের একটু আগে বাড়ী এসে জল খেতে ব’সে 'শুক্রান্ত পেলুম মোহিনী মায়ের কাছে বলছে, আজ পয়সার অভাবে তোমাদের ब्रानांथों 8वां श्व नि।-नडिा कि ? তরঙ্গিণী নিঃশব্দে শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া অধোমুখে দাড়াইয়া রছিল, কোন কথা কহিল না। তাহার মৌনভাবেই নিজ প্রশ্নের উত্তর পাইয়া বিরাজ বলিল, “আমিই না হয় নিজের জালায় অস্থির হ’য়ে ...বড়াচ্ছি, তোমাদের খোঁজ খবর নিতে পারি নি; তুমি ত আমাকে অভাবের কথা ব’লতে পারতে ” , “আমার দুঃখ বারমাস ; রোজ রোজ কি আর ব’লব ঠাকুরপো”- বলিয়া তরঙ্গিণী অঞ্চলে চক্ষু মুছিতে লাগিল । বিরাজ। যাক, হীরুদি কোথা ? “কি ক’রে জানব বল!”-এই কথা বলিয়া, যে প্রকারে, হীরালাল বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছিল, তরঙ্গিণী তাহা প্ৰকাশ করিল। . X8.