পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা বান; অর্থ ও সম্পত্তি তার যথেষ্টই আছে। দ্বিতীয়পক্ষ ও নামে মাত্র-তার বয়েসে কতজনের প্রথমবারই বিবাহ হয় না। তুমিই তার গৃহের সর্বময়ী হবে, আমিও সৰ্ব্বদাই তোমাকে দেখতে পাব ; আর উপস্থিত ধারের উপরেই আবার আমাকে ধার ক’রতেও হবে না-সে এক পয়সাও নেবে না ব’লেছে। ঘটে তে মন্দ কি ?” মন যাহা চাহে তাঙ্গা না পাইয়া ক্ষুব্ধ হয় বটে, কিন্তু যাত চাহে না বাধ্য হইয়া তাহাঁই গ্ৰহণ করিতে ঔষধ-সেবনের নামে দুষ্ট শিশু যেমন বাকিয়া বসে তেমনি বাকিয়া বসে। হরকুমারের সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাবে কমলার মনের অবস্থাও প্ৰায় সেইরূপ হইয়া দাড়াইল । বীজের ছিদ্র সব যেন অকস্মাৎ মিলাইয়া গেল। কমলা সুতা চালাইবার ছিদ্র না পাইয়া এক একটিকে তুলিয়া, ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেখিয়া, আবার রাখিয়া দিতে লাগিল । শেষে গাথা বীজগুলিকেই টানিয়া টানিয়া একে একে সূতা হইতে বাহির করিতে আরম্ভ করিল। সেইরূপে মধ্যাহ্ন হইতে এই কাল তাহাতে যতটুকু পরিশ্রম করিয়াছিল, সব দেখিতে দেখিতে পাণ্ড হইয়া গেল। তাহার কপােলে ও ললাটে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্মের সঞ্চার হইতে লাগিল । 鸭 সূৰ্য্যনারায়ণ চকিতে একবার কন্যাকে দেখিয়া লইয়া বলিলেন, “তোমার যদি ইচ্ছে না থাকে, আমাকে জানাতে লজ্জা ক’রো না, মা ! তোমার গৰ্ভধারিণী নেই। তোমার অনিচ্ছায় আমি তোমাকে কারও হাতে সপে দিয়ে যা’ব না ।” কমলা কাঠি গৈ আশ্বস্ত হইল বটে, কিন্তু “আর উপস্থিত ধারের উপরেই আবার স্মামাকে ধার ক’রতেও হবে না।”-সুৰ্য্যনারায়ণের এই কথাগুলি তখন ভূ-ঘূৰ্ণবাতাসের মত তাহার মনের মধ্যে তাল পাকাইয়া tr