পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা − দুমুখের কথা , না শুনেই যদি তোকে বাড়ীতে রাখি, সে কিছু মনে ক’রতে পারে না ? হীরালাল আর একটুও দাড়াইল না, একবারে পথে আসিয়া মনে মনে বলিল, “একগ্রামের একপাড়ার লোক,- বাল্যবন্ধু ! দূর! দূর! বন্ধুত্বের মাথায় মার, ঝাড়, !—এর চেয়ে অচেনা লোক ঢের ভাল।-দেখি এত বড় সহর, এত লোকের বাস, তা’তে একটা ভদ্রসন্তানের একরান্ত্রির মত কোথাও একটু ঠাই হয় কি না ?” এইরূপ ভাবিয়া যাইতে যাইতে পথের ধারে সে যত বড় বড় বাড়ীর দরজা খোলা পাইল, সব বাড়ীতেই চেষ্টা করিয়া দেখিল ; কিন্তু সকলেই—“অজ্ঞাতকুলশীলস্য বাসো দেয়ে ন কস্যচিৎ” এই মহাবাক্যের সার্থকতা রক্ষা করিল। , , V বিফলপ্ৰযত্ন হইয়া ক্ষুন্নমনে চলিতে চলিতে হীরালাল দেখিতে পাইল, পথের উপরেই একটা ঘরে একদল যুবা কনসাট বাজাইতে বাজাইতে মধ্যে একবার থামিয়া পরস্পরে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে, হাসিতেছে আর সিগারেট টানিতেছে। সে ভাবিল,-“যেখানে এত আনন্দ সেখানে অবশ্যই একটু দয়াও থাকবে -বিশেষতঃ এরা দেখছি সকলেই যুবা, এদের হৃদয় ততটা কঠিন হবে না।”—এই ভাবিয়া সে সেই ঘরের দ্বারদেশে উপস্থিত झुछ्रेव् । তাহাকে দেখিয়াই একজন বিকৃতস্বরে জিজ্ঞাসা করিল,তুমি কে, বাবা!” হীরালাল খুব বিনীত ও কাতরভাবে বলিল, “আজ্ঞে নিরাশ্রয় পথিক।” তাহার কথা শুনিয়া সকলেই হাসিয়া উঠিল, তাহার পর এক একজন করিয়া তাহাকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করিতে আরম্ভ করিল :- “আমন খাপ সুরত চেহারা, ফ্রেঞ্চ কাটু দাড়ি, কার্লিং টেড়ি নিয়ে, একছোটে তুমি ‘নিরাশ্রয় পথিক” কে বাবা ?” । (Yes