পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभव्जा চাহিয়া দেখে, তাহাতে সেই মুখখানার ও সেই চোখদুটাের কোন সাদৃশ্য দেখা যায় কি না। অনেক দিন যখন আর তেমন কিছু দেখিতে পাইল না, তখন নিজেরই দেখিবার ভ্রাস্তি ভাবিয়া সে নিশ্চিন্ত হইল ; ভাবিল,-“সে আর যেই হ’ক, বিরাজ নয় ;- সে হ’লে আবার আসতেই আসতে।” সে ভয়টা দূর হইবার পর আবার একটা ভাবনা তাহার মনকে চঞ্চল করিতে লাগিল,-এ নরেন্দ্ৰ কে ? কেন সে তাহার জন্য এতটা করিয়া থাকে ? হীরালাল প্ৰত্যহ মনে করে, নরেন্দ্ৰকে ধরিয়া তাহার পরিচয়টা জানিয়া লইবে । নরেন্দ্ৰ ও প্রায়ই আসিয়া তাহার তত্ত্বাবধারণ করিয়া যায় ; কিন্তু সে যেন একটা বাতাসের মত আসিয়াই চলিয়া যায়, হীরালাল তাহার ধরা *iां न । হীরালালকে কখন কোন জিনিষ চাহিতে হয় না, কোন জিনিষের অভাবও বুঝিতে হয় না ; অভাব হইবার পূর্বেই দেখিতে পায়, তাহা সংগৃহীত হইয়াছে। একজন চাকর নিয়ত তাহার কাছে থাকিয়া তাহার পরিচর্য্যা করিয়া থাকে ; , তার উপরে নরেন্দ্র দিনে দশ বার আসিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া যায়,-“আপনার কোন কষ্ট হ’চ্চে না ত ? কিছুর অভাব হচ্ছে না। ত ?” চাকরদের বিনয়, কৰ্ম্মতৎপরতা ও নৈপুণ্য দেখিয়া হীরালাল ভাবে,-“হ’বে না কেন, কৰ্ত্তা নিজে কেমন!” একজন দীন অজ্ঞাত পথিকের জন্য এইরূপ যত্ন ও অকাতর অর্থব্যয় দেখিয়া, হীরালালের মনে হয়, সে এতদিন পৃথিবীর যে ধারে ছিল এ বুঝি সে ধারটা নহে! s . একদিন পূৰ্ব্বাক্লে পথের দিকের বারান্দায় বসিয়া ( তামাক টানিতে টানিতে হীরালাল দেখিতে পাইল, সেইপথে এক ভিখারিণী একটি শিশুকে ক্ৰোড়ে লইয়া আর একটি বালিকার হাত ধরিয়া ভিক্ষায় বাহির Sዓe ]