পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা দ্বারের নিকটে দাড়াইয়া বলিয়া গেল, “তুমি ত বল, বাবা, সুখ দুঃখ সব কপালের লেখা !—কিন্তু দেন। আরও বেশী বাড়ান ভাল কি ?” কমলা চলিয়া যাইবার পর সূৰ্য্যনারায়ণ অনেকক্ষণ স্তব্ধভাবে বসিয়া কি ভাবিতে লাগিলেন। ভাবনার শেষে তঁহার মুখখানি বেশ প্ৰফুল্প হইয়া উঠিল। সে প্ৰফুল্লভাব বহুদিন তঁহাতে দেখা যায় নাই। তিনি যেন আজ একটা নূতন কিছু পাইয়াছেন, যেন বহু জটিল বিতর্কের শেষে সত্যের সরল পথ দেখিতে পাইয়াছেন, সংশয়ের অবসানে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, অথবা কন্যাদায় হইতে মুক্ত হইয়াছেন। তিনি সেই দিনেই অপরাহে হরকুমারের বাড়ীতে গমন করিলেন। কমলাও বিবিধ যুক্তির বচনে নিজের অবাধ্য ও অবোধ মনকে প্ৰবোধ দিতে লাগিল । R সূৰ্য্যনারায়ণের গ্রামের দুই তিন ক্রোশ দূরে, গঙ্গাতীরবর্তী আর একটি * পল্লীগ্রামে নীলকমলের নিবাস। নীলকমল বেশ সমৃদ্ধ জমীদার। গ্রামে * দু’মহল দ্বিতল কোঠাবাড়ী, বাগান, পুষ্করিণী ও জমীজমা বিস্তর। তেজারাতি, * কোম্পানির কাগজ ও কলিকাতার বাড়ী-ভাড়া প্ৰভৃতিতেও তাহার বেশ আয় ছিল-ছিল না কেবল সুনাম। বিষয়ের বাসনা প্ৰবল থাকিলে সুনাম বড় কাহারও ভাগ্যে ঘটিতে দেখা যায় না ; কিন্তু মান-সন্ত্রম সম্পদের চিরসহচর। সুখ্যাতি না থাকিলেও গ্রামে তঁহার প্রতিপত্তি যথেষ্ট छिव् । ' বিধাতা আঁতার দেহখানিকে সৌন্দৰ্য্যের উপাদানে সযত্নে নিৰ্ম্মাণ করেন নাই বটে, কিন্তু আকৃতি অসুন্দরও বলা যায় না। অর্থেই শ্ৰী এবং স্বাস্থ্যেই সৌন্দৰ্য্য-তাহার দুইই ছিল। ه لا