পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা বিরাজের কথার উত্তরে হীরালাল কোন কথা কহিল না ; সে ভাবিতেছিল, পৌষের দুঃসহ শীতে, বরফঢালা বাতাসে, চট্টচটে কাদাভিরা পথে তাহার পশ্চাতে বিরাজের সেই অনুসরণ, তারপর তাহার প্ৰতি এই সব অর্থব্যয় ও যত্ন ; আর ভাবিতেছিল, এই বিরাজের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র প্রতিহিংসার বশে নীচ পরিচারিকার ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়া সে নিজে যাহা যাহা করিয়াছে। সে ছলছলনেত্ৰে পাংশুপূর্ণ পথের উপরে চাহিয়া নীরবে অধোমুখে বসিয়া রহিল। বিরাজের অনুমতি পাইয়া গাড়োয়ান গাড়ী চালাইয়া দিল । বিরাজ হীরালালের গাড়ীর দিকে চাহিয়া দাড়াইয়া : রহিল। হীরালাল যেন কোন পুণ্যময় মহাপুরুষের মুক্ত আত্মা, হিরন্ময় রথে আরোহণ করিয়া সুখশান্তিপূর্ণ স্বৰ্গধামে চলিয়া যাইতেছে, আর সে অধম পাতকী, কৃত কৰ্ম্মের ফল ভোগ করিতে এই পাপতাপপূৰ্ণ ধরাধামে পড়িয়া রহিল । অনেকক্ষণ দাড়াইয়া দাড়াইয়া বিরাজ একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া ভাবিল,-“অর্থ, মান, যশ, হীরুদার কিছুই নেই ; কিন্তু তার কিছু না থাকার মধ্যেও যা আছে, আমার সমস্তের মধ্যেও তা কোথায় ? আমার যা কিছু আছে সব দিয়েও क् िउांत्र cनशैकूरक आषि क्रिन्ष्ड् পারি ?-না ;-স্ত্রীর অকপট অনুরাগ যদি কারও ভাগ্যে ঘটে। তবে দরিদ্রের ভাগ্যেই ঘটে ; তার প্রতি তার স্ত্রীর যে ভালবাসা সেইটুকুই খাটী, সৌভাগ্যের সঙ্গে সেটুকু ফুরিয়ে যাবার ভয় নেই।”—একটু পরে আবার একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া ভাবিতে লাগিল, "বাড়ী যাবার জন্যে আজ হীরুদার কতই আগ্ৰহ! সেই জীর্ণ বাড়ীখানিতে ফিরে যাবার জন্যে আজ সে বোধ হয় পৃথিবীর আধিপত্যও