পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कमला মুখের পানে চাহিয়া হীরলাল ভাবিতে থাকে, “স্বৰ্গ ব’লে বোধ হয় একটা স্বতন্ত্র রাজ্য নেই, সাধবীর মুখে ও শিশুর হাসিতেও স্বৰ্গ দেখা যায়।” তরঙ্গিণীর যত্নে নিজের পূর্বাচরণের কথা মনে করিয়া লজ্জিতচিত্তে চিন্তা করিয়া থাকে,-“আমি এ অমৃতের হ্রদ ছেড়ে এতদিন মৃগতৃষ্ণার পিছনে ছুটে বেড়িয়েছিনু কেন ?—এ রত্ন ফেলে শোরের মত পুৱীষের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছিনু কেন ?” হীরালাল বাড়ীতে ফিরিবার দুই চারি দিন পরে একদিন তরঙ্গিণী তাহার কাছে বসিয়া অভিমানের অশ্রু মুছিতে মুছিতে আপনার দুৰ্দশার ইতিহাস প্ৰকাশ করিয়া বলিল, “বিরাজঠাকুরপো যদি সেদিন বাড়ীতে না। আসতেন, আর আমাদের কথা তঁর কাণে না উঠাত, তবে তুমি ফিরে এসেও আর আমাদের দেখতে পেতে না ।” হীরালালও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া—“সে যদি আর সব মানুষের মত হ’ত, তরু, তা হ’লে আমার ফিরে আসাও তোমরা দেখতে পেতে না”-বলিয়া বিরাজ তাহার জন্য যাহা যাহা করিয়াছিল সব প্ৰকাশ করিল। তাহদের পরস্পরের এই দুঃখের কথা বলাবলিটা সেই দিনেই শেষ হইয়া গেল না ; তাহার পর প্রায় প্ৰত্যহই। হীরালাল যেন কি বলিবে বলিয়া, তরঙ্গিণীকে নিকটে ডাকে, কিন্তু আসল কথাটা বলিতে পারে না, একটা যা তা বলিয়া তাহাকে ফিরাইয়া G. সুধাংশু আসিয়া যেদিন তাহদের বাড়ীতে বসিয়া তরঙ্গিণীর সঙ্গে সেই সব কথা কহিয়া যায়, হীরালাল সে সমস্ত ক্ষণই ঘুমাইয়া ছিল না। সুধাংশু চলিয়া যাইবার পর হইতে তাহার সেই “বলি বলি বলা গেল না।”-ভাবটা বড় বেশী বেশী হইয়া উঠিল এবং ক্রমশঃ প্ৰকাশের লজ অপেক্ষ অপ্ৰকাশ والاطلا