পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা esse হইলে তিনি তাহার হাত হইতে তাহা কাড়িয়া লইয়া নিজে করিয়া থাকেন। তাহাকে কোন কিছুর অভাবও বুঝিতে দেন না ; অভাব হইবার পূর্বেই প্রয়োজনীয় সমস্তই সমাহৃত হইয়া থাকে। কিন্তু পিঞ্জর লৌহময় না হইয়া সুবৰ্ণময় হইলেও পিঞ্জীরবাসের দুঃখ কি অল্প হইয়া থাকে ? কমলা উপরের যে ছোট ঘরখানিতে থাকে, তাহাতে বসিয়া আকাশ, গৃহশ্লিখর ও মন্দিরাদির চুড়া ভিন্ন আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না । পৃথিবীর সঙ্গে তাহার বড় সম্বন্ধ নাই, কেবল পৃথিবীর উপরে স্থাপিত এই পৰ্য্যন্ত । কমলার স্নান, ভোজন, সমস্তই সেই রুদ্ধদ্বার গৃহের অভ্যন্তরে, এবং শয়ন, উপবেশন, সমস্তই সেই ঘরখানির ভিতরে। সেবাড়ীতে অতিথি ও অভ্যাগতের সংখ্যা নিতান্তই বিরল ; কদাচিৎ কেহ আসিলে বামা অগ্ৰে কমলাকে কক্ষে আবদ্ধ করিয়া তৎপরে বহিদ্বার অর্গলমুক্ত করেন। অজ্ঞাতবাসের সেইরূপ , ব্যবস্থাই সঙ্গত বুঝিয়া কমলা তাহাতে দুঃখ করে না ; কিন্তু বামাসুন্দরীর সেই মুখখানি ভিন্ন আর অন্য মানুষের মুখও দেখিতে পায় না। প্রতিদিন সেই একই রুদ্ধকক্ষে একাকিনী অবস্থান, কৰ্ম্মহীন দীর্ঘদিনগুলি শুধু মনোবেদনা লইয়া যাপন, আর নিদ্রাহীন রজনীর সেই শয্যাকণ্টকি। তাহার জীবনটা ঠিক যেন কোন নিৰ্জনমরুপ্রবাহিনী বিশীর্ণ তটিনীর ক্ষীণ প্রবাহ ; উপকূলে পুষ্পিত তরু নাই, তীরে শুrাম তৃণ নাই, যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু শুভ্র সিকতা ধুধু করিতেছে! আর সেই একটানা জীবনের ক্ষীণ ধারাটি লইয়া সে দিবানিশি একভাবে একপথে বহিয়া চলিয়াছে। কখন ক্ষুদ্র আশার একটা ক্ষুদ্র তরঙ্গ উঠিয়াও তাহার এ নিরানন্দ নিজীবিতাফে ভাঙ্গিয়া দেয় না। ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন, বৰ্ত্তমান বিষাদময়, অতীতের স্মৃতিমাত্র তাহার সম্বল, অতীতের চিন্তামাত্র সঙ্গিনী ; কিন্তু সুখের স্মৃতি श्ड्ने ܖܬܪ ]