পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भव् Lmmissip লেও অতীতের স্মৃতিতে আনন্দ কোথায় ? জীবনের যেগুলি বড় সুখের দিন, সেগুলির স্মৃতিও মৃত প্রিয়জনের স্মৃতির ন্যায় বড় দুঃখের, বড় বিষাদের। বামাসুন্দরী মধ্যে মধ্যে কমলার কাছে আসিয়া বসেন, তাহার চিত্তবিনোদন করিতে কত প্রকারের গল্প করেন ; কমলা সে সকল গল্প শুনিতে চাহে না, তিনিও শুনাইতে ছাড়েন না । সে সকল গল্পের অত্যাচার হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্য কমলা অনেক সময়ে জাগিয়াও যেন ঘুমাইয়া থাকে। একদিন কথায় কথায় তিনি কি একটা কথা বলিয়াছিলেন, তাহা শুনিয়া কমলা ভারী রাগ করিয়াছিল। “পরিহাস’, ‘মনপরীক্ষা’, ইত্যাদি বলিয়া তিনি কথাটাকে ফিরাইতে চেষ্টা করিলেন বটে, কিন্তু কমলার মনে সেই হইতে একটা সংশয় ও আশঙ্কা জাগিয়া রহিল। নিত্যব্যবহারের জন্য বামাসুন্দরী বেশ মিহি দুইজোড়া পাছাপেড়ে কাপড় আনিয়া কমলাকে পরিতে দিলেন, কমলা তাহা পরিল না । সে আসিবার সময়ে যে দুই তিনখানি মোটা কাপড় সঙ্গে আনিয়াছিল, পৰ্য্যায়ক্রমে তাঁহাই পরিতে লাগিল এবং মলিন ও দুৰ্গন্ধযুক্ত হইলেই সাবান দিয়া নিজে কাচিয়া লইতে লাগিল। নিয়ত ব্যবহারে সেগুলি জীর্ণ হইয়া পড়িল, স্থানে স্থানে ছিড়িতে আরম্ভ করিল ; কমলাও সেলাই তালি প্রভৃতি, কাপড়ের ছেড়া-রোগের যত প্ৰকার চিকিৎসা জানিত সব করিতে লাগিল। বামা তাহা দেখিয়া , হাস্য করেন আর বলিয়া থাকেন, “ও মা ! এ কি গো ! এই হ’ল তোমাদের ভাল খাবার, ভাল পরবার বয়েস ; এখন থেকেই এমন কেন গো !” কমলা চুপ করিয়া থাকে। বামাসুন্দরী কত বলেন, কমলা তবু চুল বাঁধে না । তিনি যে অনেক রকমের বাহারে খোপা বাধিতে জানেন, তাহার দীর্ঘ ও বিপুল কেশদামে তাহারই পরিচয় দিতে চেষ্টা করেন ; কিন্তু কমলাকে কিছুতেই রাজী ડેરી