পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कमल তাহাকে কঁাদিতে দেখিয়া হরকুমার হাসিয়া বলিক্স, “তুমি কেন কঁাদ, কমলা ? কঁাদবার কথা ত আমার ! তোমার জন্যেই তা আমি কলঙ্কের ভাগী হ’য়েছি, ঘরে পরে লাঞ্ছিত হ’য়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হ’য়েছি।-- আমি তোমাকে চিরদিন দিয়ে এসেছি হৃদয়ের অকপট গ্ৰীতি আর পূজা, পেয়ে এসেছি শুধু ঘৃণা আর প্রত্যাখ্যান! কেন তুমি আমাকে এত ঘৃণা করা? আমি কি, কমলা ?” কমলা চক্ষু হইতে অঞ্চল অপসৃত করিয়া বাস্পকম্পিত্যকণ্ঠে তীব্ৰস্বরে বুলিল, “আপনি যে কি তা আপনিই জানেন, আর জানেন যিনি অন্তৰ্যামী ! বাবা আপনাকে সন্তানের মত দেখতেন, তাই আমিও আপনাকে ৰাড় క్గా মতই দেখে এসেছি। আপনার মন যে এত নীচ তা আর কখন এতটা বুঝতে পারি নি।” । হরকুমার। আমাব মন যে নীচ তা কিসে বুঝলে ? ? কমলা। নীচ না হ’লে কে এমন সময়ে অসহায় পরস্ত্রীর ঘরে এসে তার কাছে নিজের জঘন্য চরিতের পরিচয় দেয় ? 崛 হরকুমার। আরাধ্যদেবতাকে নির্জনে পেয়ে তার চরণে হৃদয়ের গ্ৰীতিভার ঢেলে দেওয়া কি নীচতা, কমলা ?-যদি তাই হয়, সে দোষ কার?-- আমার, না যে তোমাকে এত সুন্দর ক’রে পাঠিয়েছে, আমার মনকে সুন্দর দেখে এমন মুগ্ধ হ’বার মত ক’রে দিয়েছে, তার ?-কেন তুমি তোমার এই ফুল্লমল্লিকার মত শুভ্ররূপরাশি নিয়ে আমার চোখের এত নিকটে ফুটছিলো? কেন আমি ভিক্ষে ক’রেও তোমাকে পাইনি?’-তোমাকে পাবার মত আমার কি না ছিল ? কেন তবে তোমার বাপ আমার প্রার্থনা অগ্ৰাহ ক’রে আমার মুখের গ্রাস-আমার পিপাসার জল, আর একজনকে সোধে দিয়েছিলেন ? তুমি আমার জন্যেই জন্মেছ, তাই তঁার এসে কাজে ৰাজ See