পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেন। আতসবাজীপ্রসূত বহ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় বেগে দিঙ মুখ হইতে ছুটয়া আসিয়া কোথায় চলিয়া যাইতেছে। সে ধীরে ধীরে বসিয়া পড়িল এবং উদ্ধ সোপানে মস্তক স্থাপিত করিয়া নয়ন মুদ্রিত করিল। কিছুক্ষণ পরেই পূৰ্ব্বগগন উষার অরুণরাগে রঞ্জিত হইয়া উঠিল। সুপ্তোথিত ভক্তবন্দের ‘শিব’, ‘শিব’ রবে চারিদিক মুখরিত হইয়া উঠিল। কত জন গঙ্গায় স্নান করিতে বাহির হইল। কত জন স্নান করিয়া ফিরিতে লাগিল। জনৈক যুবা উষাক্ৰমণ করিতে করিতে একটা ঘাটের উদ্ধ সোপানে: দাড়াইয়া দেখিল, অনিন্দ্যসুন্দরী এক যুবতী যদৃচ্ছাক্রমে পাষাণসোপানে শয়ান রহিয়াছে! আসন্ন প্ৰভাতের স্নান জ্যোৎস্না তাহার রূপের প্রভায় যেন স্নানতার প্রতিভাত হইতেছে! যুবতীর অঙ্গে একখানিও অলঙ্কার নাই ; পরিধেয় জীর্ণ ও মলিন, আবেণীসম্বদ্ধ কেশপাশ। সোপানের উপরে লুটাইয়া পড়িয়াছে। একখানি বাহুতোহার উপাধান চইয়াছে, আর একখানি বিপুল নিতম্বের উপরে "অলসভাবে বিলন্বিত রহিয়াছে! মূৰ্ত্তিটি যেন উৎকীর্ণ-যেন কোন নিপুণ শিল্পী কোমলতাগুণে লাবণ্য মিশাইয়া শুধু সৌন্দর্ঘ্যের উপাদানে তাহার নিৰ্ম্মাণ করিয়া তুলিয়াছে!—যেন সন্তোবিকশিত মল্লিকার স্কুলহার গঙ্গার প্রবাহে ভাসিয়া আসিয়া সোপানতটে সংলগ্ন হইয়া রহিয়াছে! কেবল বক্ষঃস্থলের শ্বাসপ্ৰশ্বাসজনিত মৃদু উত্থান ও পতনে জীবনলক্ষণ প্ৰকাশ উষার শীকরবাহী শীতল সমীরণ মৃদুমন্দ বহিয়া কয়লার মুজ্জা ভাঙ্গাইয়া দিল। যে নগর বহুদিন পূৰ্ব্বে জনশূন্য হইয়া, মনুষ্যবসতির ভগ্নাবশেষ মাত্র বুকে করিয়া, অরণ্যানীপরিবৃত হইয়া পড়িয়া আছে, নিদ্রিতাবস্থায় কেহ যদি তাহার মধ্যে নীত হইয়া পরিত্যক্ত হয়, সে জাগিয়া যে ভাবে চারিদিকে fits