পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कळ् E' অলঙ্কারের মধ্যে দক্ষিণহস্তে একখানি শাখা, বামহস্তে কেবল— মাত্র একখানি সূক্ষ্ম লৌহবলয় ; আর ললাটের উৰ্দ্ধদেশে অবিন্যস্ত, আলুলায়িত রুক্ষকেশদামের মধ্যভাগে সূক্ষ্ম একটি সিন্দুরীতিলক । তাতাতেই যেন সে কত অলঙ্কার পরিয়াছে। রূপ যেন তাহার অঙ্গে ধরিতেছে না, চারিদিকে উচ্ছলিত হইয়া পড়িতেছে! সে নাতিলম্বিত, অবগুণ্ঠনে মস্তক আবৃত করিয়া স্থিরদৃষ্টিতে নিম্নে চাহিয়া নিশ্চলাঙ্গে বসিয়া আছে। তাহার সেই দীন দৃষ্টিতে যেন জীবনী শক্তি নাই! মান মুখখানি দেখিয়, বোধ হয়, সম্প্রতি তাহার জীবনের উপর দিয়া যেন একটা মহাপ্ৰলয় ঘটিয়া গিয়াছে। । যাহারা দাড়াইয়া তাহাকে দেখিতেছে, তাহাদের মুখেও কোন কথা 'নাই ; দৃষ্টিতে শুধু কৌতুহল, আর একটা মৌন জিজ্ঞাসা,-এ সুন্দরী কে? এখানে এমন ভাবে বসিয়া কেন ? এ কি মানবী না দিবচুত কোন দেবী ? তাহারা এমনিভাবে তাহার দিকে চাহিয়া আছে যেন সত্যই সে এ পৃথিবীর জীব নহে, রাত্রির মধ্যে কোন গ্ৰহান্তর হইতে পৃথিবীতে নামিয়া পড়িয়াছে আর উঠিয়া যাইতে পারে নাই ;-যেন গগনচুত নাক্ষত্রিকশিলার মত কি একটা অপূৰ্ব্ব ! বেলার সঙ্গে জনতার বৃদ্ধি হইতে লাগিল। নূতন যাহারা আসিতে লাগিল, তাহারা পূৰ্ব্বাগতদিগকে চুপে চুপে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কি হ’য়েছে গা -মেয়েটি কে গা ?—এমন আলো-করা রূপ নিয়ে, এমন ক’রে এখানে ব’সে আছে কেন গা ?” তদুত্তরে কেহ কিছুই বলিতে পারিল না। কিছুক্ষণ পরে এক বৃদ্ধ আসিয়া বলিলেন, “ওগো আমি এর বির্ভান্ত সব জানি ; আমি যখন এসেছি। ঘাটে তখন কেউ আসে নি, কেবল এই মেয়েটি পড়ে ছেল, আর একটি ভািব্দর বাবু। উড়ুনি ভিজিয়ে SSs).