পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभञ्ज्ञ। জল নিয়ে এর মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছেলেন। . আমাকে দেখেই বাবুটি উঠে গেলেন। মেয়েটি কিন্তু সেই থেকে গালে হাত দিয়ে ঠিক এমনিভাবে ব’সে আছে! কত জিগগেস ক’রলুম। তা একটি কথাও কইলে না ।” বুদ্ধার এবম্বিধ সমস্ত বৃত্তান্তে যদিও কাভারও কৌতুহুল চরিতার্থ হইল। না, কিন্তু জনতাটা সেইক্ষণ হইতেই পাতলা হইয়া পড়িতে লাগিল । বৃদ্ধার বচনে অনেকেরই ধারণা হইল, যুবতী মতা পাপিষ্ঠ, কুলাঙ্গনকুলের কলঙ্ক, কাশী-বাসিনী পুণ্যশীলাগণের দর্শনেরও অযোগ্য। কেহ। কেত কৌতুকিনী সঙ্গিনীকে—“আয় না, লো ! বেলা হচ্ছে ; কাশীর কাণ্ড আর কি দেখাবি?” -- বলিয়া টানিয়া লইয়া, স্নান করিতে নামিতে লাগিলেন। করুণা একটি পাশে নীরদার হাতটি ধরিয়া দাড়াইয়া ছিল । d যখন? কিছু বলিতেছিল, তাহার বড় বড় চোখের কালো কালো তারাদুটি স্থির হইয় তাহারই মুখের দিকে ফিরিতেছিল; সকলেই যখন নীরব হইতেছিল, তাহার কারুণ্যপূর্ণ দৃষ্টি ধূলিবিলুষ্ঠিত রত্নমালার ন্যায় এই অপরিচিত সুন্দরীর দীনসৌন্দৰ্য্যের উপরে পতিত হইতেছিল। বর্ষীয়সীগণের অযথা সমালোচনা শুনিয়া তাহার মনে মনে ভারী রাগও হইতেছিল। ভিড়টা একটু কমিয়া গেলেই সে নীরদাকে একটু দূরে টানিয়া লইয়৷ গিয়া অনুচ্চকণ্ঠে বলিল, “দিদি, তুমি নেয়ে নাও ! আমি ওর কাছে গিয়ে একটু বসি ।” নীরদারও ইচ্ছাটা তাহাই করে, কিন্তু অনেকটা বেলা হইয়া গিয়াছে দেখিয়া সে একটু দুঃখিতভাবে বলিল, “যাই । এই ;-তুইও ত করুণা। এখন নয় ; তুমি যাও, আর দেৱী ক’রো না ! RSc