পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*भन्नता। অর্থের অসদ্ভাব আমাকে এতদিন কৰ্ত্তব্য স্থির করতে দেয় নি। জিজ্ঞাসা ক’রে যেদিন তা’র মনের ভাব বুঝেছি, সেই দিনই টাকার যোগাড় ক’রতে বেরিয়েছি। যেদিন টাকার যোগাড় ক’রতে পেরেছি, সেই দিনেই নীলকমলের দ্বারস্থ হ’য়েছি। কারও অনুরোধে নয়—স্বেচ্ছায় ; শুধু ইচ্ছায় নয়- কৰ্ত্তব্য বুঝে ; আমার এ কাজে আপনারা কোন কথা কইবেন না ।” চূড়ামণি ঢেউ দেখিয়াই চাইল ছাড়িবার পাত্র নহেন । অনুরোধে যাহা হইল না তাঙ্গাই কৌশলে ঘটাইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। “যে এত টাকা দিতে প্ৰস্তুত, তার এমন । সুন্দরী মেয়ে কেন এত বড় হ’য়ে থাকে। সেটা বুঝে দেখুন” ইত্যাদি প্রকারের নানা কথায় নীলকমলের মন ভাঙ্গাইয়া বিবাহটা ভাঙ্গাইবার জন্য গোপনে গোপনে অনেক চেষ্টা করিলেন। ভবিতব্যতার বিরুদ্ধে মানুষের চেষ্টা সফল হয় না। পাত্র-পাত্রী আশীৰ্ব্বাদ হইয়া বিবাহের দিন স্থির হইয়া গেল । তৈলহীন দীপ যেমন নিভিবার পূর্বে দীপাবত্তিকার সমস্ত তৈলটুিকু নিঃশেষে টানিয়া লইয়া উজ্জল হইয়া উঠে, সূৰ্য্যনারায়ণের নিরানন্দ গৃহখানিও তেমনি একদিন বৈশাখের শেষে সর্বস্ববিনিময়ে সংগৃহীত দ্রব্যভার লইয়া উৎসবের আনন্দে মাতিয়া উঠিল। সমস্ত সম্পত্তি আবদ্ধ রাখিয়া তিনি প্ৰথমে যে সাত হাজার টাকা সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, সেগুলি সমস্তই পাত্ৰ-আশীৰ্ব্বাদের দিনে নীলকমলের লোহার সিন্দুকে গিয়া প্ৰবেশ করিয়াছিল। এখন বাকী সব হয় কিসে ? কাজেই তঁহাকে আরও এক হাজার ধার করিতে হইল। তাহাতে র্তাহার বাসগৃহ পৰ্যন্ত বন্ধক পড়িল । কিন্তু দেনার ভাবনা উৎসবের আনন্দকে চাপিয়া রাখিতে পারে না। গৃঙ্গসংস্কার ও ঘর, উঠান প্রভৃতি পরিষ্কারের ধুম পড়িয়া গেল। যে সকল কক্ষ বহুদিন হইতে রুদ্ধ ছিল, তাহদের অন্তর্বাসী মাকড়সা, \ ]