পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺羽列1 নীরদ একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া ধীরে ধীরে জলে গিয়া নামিল। করুণা তাহাকে স্নান করিতে পাঠাইয়া দিয়া, বেহারীকে ডাকিয় তাহার কাণে কাণে কি বলিয়া দিল ; তাৎপরে ধীরে ধীরে অপরিচিতার পাশ্বে আসিয়া বসিয়া, তাহার মুখের খুব নিকটে নিজের মুখখানি আনিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার সঙ্গে কি কেউ নেই ?” যুবতীর অলস দৃষ্টি একবার ভূমি ছাড়িয়া করুণার মুখের উপরে পড়িল । করুণা তাহাতেই নিজের প্রশ্নের উত্তর পাইয়া বলিল, “আমাদের বাসাবাড়ী খুব কাছেই ; এ বেলাটা সেইখানে থেকে তারপর যেথা যাবার গেলে হয় না ?” যুবতী এবার একটু বেশীক্ষণ ধরিয়া করুণার মুখের দিকে চাহিয়৷ রহিল। সেই সময়ে বেহারী আসিয়া বলিল, “পান্ধী এসেছে, দিদিমণি !” নীরদাও গামছা নিঙ্গড়াইতে নিঙ্গড়াইতে আসিয়া উপস্থিত হইল। করুণা যে অপরিচিতাকে বাসায় লইয়া যাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছে, ইহাতে খুলী হইয়া নীরদ আর চুল মুছিল না, কাপড়ও ছাড়িল না, শুক্‌না কাপড় বগলে লইয়া, ভিজা কাপড় পরিয়াই পান্ধীর পিছনে পিছনে ছুটিল। কমলা কৃষ্ণনাথের পরিবারের মধ্যে স্থান পাইয়াছে। কঠিন পাষাণসোপানে মূছাজন্য পতনে তাহার অঙ্গে যে ক্ষত ও বেদনা হইয়াছিল, তাহা সারিয়া গিয়াছে; কিন্তু বিরাজমোহনের কঠোর বাক্যে তাহার হৃদয়ে যে দারুণ আঘাত লাগিয়াছিল, সেটা দিনে দিনে বড়ই বাড়িয়া উঠিয়াছে। দিনে দিনে কমলার গণ্ডের সেই নলিন-রাগ কেতকীর গর্ভপাত্রের ন্যায় ఇS I