পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা হেমন্ত। আমার মনে হ’ল, সে আমাদের নতুন দিদিকেই খুজতেছে ; কিছু জিগগেস ক’রলে পাছে সন্দেহ করে যে, তিনি আমাদের বাড়ীতেই আছেন ? কৃষ্ণনাথ গভীরভাবে একটু হাসিয়া বলিলেন, “এই ভয়ে ?-বয়েস গুচ্ছে, আর মানুষ হবে কবে ? - লোকটা কি রকমের ? : বয়েস কত আন্দাজ হবে বল দেখি ” হেমন্ত। বয়েস বেশী হবে না ;—তবে খুব লম্বা-চওড়া মন্ত একটা মদ। সে একটা অদ্ভুত লোক, বাবা !—চেহারাটা বেশ, কিন্তু সন্ন্যোসীর মত গেরুয়া কাপড়, গেরুয়া চাদর, গায়ে জামা নেই, পায়ে জুতো নেই, হাতে পোটুলী-পুট্ৰিলিও কিছু নেই ;—মাথার চুলগুলো রুক্ষু আর খোঁচা খোচা, চাউনিটা যেন কেমন একতর।!-কখনো মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল ক’রে চেয়ে থাকে, আবার কখনো বা কট্‌মটু ক’রে তাকায় ! 割 কৃষ্ণনাথ একটু ভাবিয়া, “যে পাণ্ডার সঙ্গে তিনি কথা ক’য়েছিলেন, তাকে চিনিয়ে দেবে চল দেখি” বলিয়া তখনই হেমন্তকে সঙ্গে লইয়া বাহির হইলেন। তখনই যদিও তিনি হেমন্তকথিত সেই “অদ্ভুত লোকটাকে দেখিতে পাইলেন না, কিন্তু পাণ্ডার মুখে শুনিয়া বুঝিলেন যে, তাহার দেখা পাওয়া দুষ্কর নহে,- সে প্রত্যহই সেইরূপে ঘাটে ঘাটে বেড়াইয়া থাকে। তিনিও তাহাকে ধরিবার জন্য প্ৰত্যহ ঘাটে ঘাটে বেড়াইতে আরম্ভ করিলেন । A. দুই তিন দিন পরেই একদিন কৃষ্ণনাথ একটা ঘাটের উপরে সেই রকমের একটা লোককে বসিয়া থাকিতে দেখিতে পাইলেন। তাহার বেশ সন্ন্যাসীর মতই বটে, কিন্তু যে সকল সন্ন্যাসীর মূৰ্ত্তি আমরা সাধারণতঃ ܕܘ̈ܬܐR ]