পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা কৃষ্ণনাথ একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বিষগ্ৰমুখে বলিলেন, “তোমাকে । ত এখন তোমার দাদার সন্ধানে যেতেই হচ্ছে? যত দিন তাঁর সন্ধান না। হয়, তত দিন না হয় আমার মা আমার কাছেই রইলেন ?”-তারপর আবার কি ভাবিয়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “না-এ বিষয়ে র্তার অভিপ্ৰায় কি, তাই আগে জান—তুমি একবার বাড়ীর ভিতরে যাও ” সৰ্ব্বদাই যে কমলার নিকটে থাকে,-সুধাংশু আসিতেছে,-শুনিয়াই সে পলাইয়া গেল। নীরদাও ধীরে ধীরে সরিয়া আসিল। সুধাংশু কমলার কাছে গিয়া বসিল এবং তাহার পানে সবিস্ময়ে চাহিয়া আপনার মনে মনে বলিল,-“হা জগদীশ্বর ! এ কি করিয়াছ!-সে তপ্তকনককান্তিব্ল-সে ললাম দেহের এ কি দুৰ্দশা করিয়াছ!” । :ே অনেকক্ষণ ধরিয়া দুইজনে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইল। অন্যান্য কথার শেষে সুধাংশু কমলাকে গৃহে ফিরাইয়া লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিল। কমলা এতক্ষণ বেশ প্ৰফুল্লমুখে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিল, সুধাংশুর প্ৰস্তাবে তাহার মুখখানি বিষঃ হইয়া পড়িল। নীরবে, নতমুখে একটু বসিয়া থাকিয়া, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “না, ঠাকুরপো!—আগে তুমি তাঁর সন্ধান ক’রে, তঁকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাও! এতদিন তোমার তাই করাই উচিত ছেল,-আমাকে খুঁজে বেড়িয়ে মিছে সময় নষ্ট ক’রেছ।” সুধাংশু। না-বউদিদি, পরের অন্তঃপুর থেকে তোমাকে খুজে বার্থ করাই দুঃসাধ্য ছিল ; ভগবানের কৃপায় যখন তোমার সন্ধান হ’য়েছেআর ভাবি না। তঁকে খুজে বার ক’রতে দেৱী হবে না। আগে তোমাকে বাড়ীতে রেখে আসি-চল ! তুমি বাড়ীতে না গেলে, দেখা পেলেও কি তাকে বাড়ী ফেরাতে পারব? २२४”]