পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা । কমলা মানমুখে একটু হাসিয়া বলিল, “আমি বাড়ীতে গেছি শুনলেও • তিনি ফিরে যাবেন না। ;-তিনি যে জানেন, আমি কলঙ্কিনী !”-একটা দীর্ঘশ্বাস কমলার হৃদয়কে আন্দোলিত করিয়া ধীরে ধীরে, নিঃশব্দে নিৰ্গত হইল । সুধাংশু। এ তোমার অন্যায় অভিমান,বউদিদি! তিনি যেমন শুনেছিলেন, তেমনি বুঝেছিলেন ; আমার মুখে যখন সব কথা শুনবেন, তখন কি আর কিছু বুঝতে বাকী থাকবে ? কালই আমরা বাড়ী যাই-চল ! তোমাকে রেখে এসে নিশ্চিন্তমনে তঁাকে খুজতে বেরুব। কমলা। তুমি বুঝতে পারছি না :-শেষে যা ক’রবে ব’লতেছ, আগে তাই কর। তিনি বড় দুঃখেই পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন - আমার জন্যে আর ভাবনা কিসের ?-আমি ত এখন একটা আশ্রয় পেয়েছি। সুধাংশু মুখখানা ভারী ভারী করিয়া বলিল, “তঁাকে খুজে পেতে এখন যদি কিছুদিন দেরীই হয়, ততদিন তুমি এই রকম অনাথার মত পরের বাড়ীতে প’ড়ে থাকবে ?” ས་ কমলা পুনর্বার একটু হাসিয়া বলিল, “এর পর নয়, ঠাকুরপো! এরা আমার বড় আপনার। আপনার জন যারা, তারাই যখন আমাকে সবাই ত্যাগ ক’রেছেল, কেউ আশ্রয় দেয়নি-কোথাও আশ্রয় পাই নি, তখন এরাই আমাকে আপনার হতেও বেশী আপনার ভেবে বাড়ীতে রেখেছে।” সুধাংশু নিয়ে চাহিয়া কিছুক্ষণ স্তব্ধভাবে বসিয়া রহিল ; তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া গম্ভীরভাবে বলিল, “তবে তুমি এইখানে এদের বাড়ীতেই থাক। -আমাদের সংসার উচ্ছন্নে যাক। আগুন লেগে, পুড়ে ছাই হ’য়ে যাক ৷” [ २२&