পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काव्i কঁদিতে লাগিল। তিনিও আশীৰ্ব্বাদ বা সান্থনার একটি কথাও মুখ দিয়া বাজির করিতে পারিলেন না, কন্যার অবগুণ্ঠিত মস্তকের উপরে হাতটি রাখিয়া সাশ্রনেত্ৰে উদ্ধে চাহিয়া রহিলেন । সূৰ্য্যনারায়ণ একদিনের জন্যও কখন কন্যাকে চক্ষুর অন্তরাল করেন। নাই ; রাত্ৰিতেও মধ্যে মধ্যে জাগিয়া ডাকিয়া দেখিতেন, কমলা ঘুমাইতেছে কি না, এবং অনেকক্ষণ। ঘুমাইয়া থাকিলে তাহার নাসিকার নিকটে হাত রাখিয়া দেখিতেন, শ্বাস বহিতেছে কি না । অবিভক্ত মোহোেৱ একমাত্র আধার সেই কন্যাকে স্বামি গৃহে পাঠাইয়া তিনি বাড়ীতে আহার করিতে বা নিদ্ৰা যাইতে পারেন না । বাড়ীতে যেন কত লোক ছিল, সবাই চলিয়া গিয়াছে।--ধেন ক'ত আলো জ্বলিত, সব নিভিয়া গিয়াছে । কমলার একটি টিয়াপাখী ছিল ; সেটিও তিন চারি দিন ছোলা কাটিল না—দুধের * বাটীতে মুখ দিল না। কমলা যে পথে শ্বশুরবাড়ী গিয়াছিল সেই পথটা সূৰ্য্যনারায়ণের সকালে ও সন্ধ্যায় বেড়াইবার পথ হইল। তাহার আশ । ছিল, পাকস্পশের দিনে গিয়া কমলাকে দেখিতে পাইবেন ; কিন্তু নিমন্ত্রণের পত্ৰ আসিল না। অনঙ্গ কমলার সঙ্গে গিয়াছিল । সে ফিরিয়া আসিয়া সংবাদ দিল--খুব ঘটা করিয়া বউ-ভাত ভাইয়া গিয়াছে ; কিন্তু কমলাকে পাঠাইবার কথায় তাহার শাশুড়ী বলিয়াছেন- “এতদিন মেয়েকে কাছে রেখেও কি বাপের সাধ মেটে নি ? বাপের বাড়ীতে ফেলে রাখবে ব’লে বউ ঘরে তুলেছি না কি ? ঠাকুর-দেবতার কত পূজে, মানসিক আছে—সব দেওয়া হ’ক, তারপর তখন সেই ওমাসে দেখা যাবে। ” সূৰ্য্যনারায়ণ সেই ‘ওমাস’ চাহিয়া দিন গণিতে লাগিলেন। 来 米 杀 蛛“ 丧 ! "טצ'