পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া আবার বলিতে লাগিল, “সোণার শৈশবে যখন কোন বড় চিন্তা হৃদয়ে আসতে পায় না, সংসারের স্রোত জীবন-মৃত্যু ও সুখ-দুঃখের তরঙ্গ নিয়ে দূরে দূরে ব’য়ে যায়, আমরা শুধু খেল নিয়ে থাকি-খেলা পেলে খাওয়া অবধিও ভুলে যাই, আর সন্ধ্যেবেল খেলায় শ্ৰান্ত হ’য়ে, ধূলামাখা দেহখানি মায়ের কোলে ঢেলে দিয়ে স্বর্গের সুখ উপভোগ করি, তখন সংসার অমৃতময় ব’লেই মনে হয়। তখন গাছ, পাতা, ঘর, বাড়ী, সবই যেন কি একটা ইন্দ্ৰধনুর রঙ মে%ে থাকে। সমস্ত সংসারটা যেন কি একটা অপূৰ্ব্ব ছায়া-বাজীর মত মনোহর মনে হয় । বালোই আবার যখন মা আদর-যত্ন করেন, কিন্তু পাঠশালায় না গেলে পিতা তাড়না করেন, সঙ্গীরা খেলতে এসে ঝগড়া ক’রে ফিরে যায়, ফোটাফুল তুলতে গেলেই ঝরে পড়ে, তখনই মনের মধ্যে একটা সংশয় উপস্থিত হয়, সংসার কি শুধুই অমৃতময়, না। এ অমৃতের সঙ্গে আরও কিছু আছে! তারপর 2 . যৌবনে, পত্নীর নবানুরাগের মোতে যখন হৃদয়ে আনন্দের নদী উজান ব’য়ে যায়, বিবিধ আশার অরুণরাগ তরুণ হৃদয়ে নানাবিধ সুখের চিত্র অঙ্কিত করে, তখন আবার দিন কতক যেন সে সংশয়ট কোথায় স’রে যায় ! কিন্তু পরেই আবার যখন পত্নীর সেই নবানুরাগের ওপরে . সংসারের কঠোর আবরণ পড়ে, প্ৰেমালাপের মধ্যেও সংসারের বিবিধ অভাব ও অভিযোগের কথা এসে উপস্থিত হয়, ছেলে মেয়েদের আনন্দের হাসি প্ৰাণে অমৃত-সেচন করে, আবার তাদের রোগ-শোক হৃদয়ে বিষাদ ঢেলে দেয়, তখন আবার বাল্যের সেই সংশয়টা ঘোরতর হ’য়ে ফিরে আসে। জ্যোৎস্নারাত্ৰিতে সাজান বৈঠকখানায় গান-বাজনার সঙ্গে হাসির লহর উঠতে শুনে মনে হয়, সংসার আনন্দে ভরা ; কিন্তু গভীর રે8૦ ],