পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা জাগরণে ও স্বপ্নে, সে মূৰ্ত্তিী জহুর্মুখ-ব্লাঙ্গািগ্ন চােখের সামনে জ্বল জল ক’রতে লাগল। সুন্দর কিছু দেখলে সেটাকে নিজের ক’রে নেবার ইচ্ছেটা বোধ হয় মানুষের স্বাভাবিক।-সুন্দর ফুলটি ফুটে রয়েছে দেখে, কে না সেটিকে তুলে নিতে চায় ?--শিশু যে চাদ দেখে ধরবার জন্যে নিজের ছোট ছোট হাত দুখানি বাড়িয়ে দেয়, সেটাও বোধ হয় শিশু-মানবেরই বিকাশোন্মুখ মানবত্ব,-না পেরে যে কঁদে সেই টুকুই শুধু তার শিশুত্ব। সেই দিন তাকে দেখে আমার ইচ্ছে হল, যেমন ক’রে পারি তার সেই মূৰ্ত্তি আমার গৃহে প্রতিষ্ঠিত ক’রব-তাকে আমার নিজস্ব ক’রব। ভাবলুম, কেন তা হবে না ? ধন, মান, কুল, শীল, রূপ, যৌবন,-আমার কি নেই? লজ্জায় নিজে তার ব্যাপকে ব’লতে পারলুম না, একজন ঘটক লাগালুম। সে ঘটক আবার তার বাপের গুরুপুত্র। তবু আমার প্রার্থনা তিনি গ্ৰাহ ক’রলেন না। আমাদের গ্রানের নিকটেই আর একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হল । আমি নিরাশ হ’য়ে যুক্তিতর্কে মনকে বাঁধতে অনেক চেষ্টা ক’রলুম,-কিছুতেই কিছু হল না। দুৰ্দমনীয় বাসনার প্রবল স্রোতে সব যুক্তি, সব তর্ক, প্ৰবল বানের মুখে বালির বঁাধের মত ভেঙ্গে ভেসে কোথায় কি হ’য়ে গেল। সেই সঙ্গে ভেসে গেল,-আমার আনন্দ, সুখ, মনুষ্যত্ব, ইহকাল, পরকাল! রইল শুধু আমার সেই কু-আশা-সমাচ্ছন্ন তমোময় হৃদয়ে জেগে,-তার, সেই মূৰ্ত্তি—শুভ্ৰ, শান্ত, সুপ্ত জ্যোৎস্নার মত,-ধ্রুবতারার মত! আর রইল শ্রাবণের কুলপ্লাবিনী প্ৰবল স্রোতস্বতীর মত, আমার সমস্ত প্ৰাণ, মন, ইন্দ্রিয়কে মগ্ন ক’রে,-তার চিন্তা ! আমি যেন পাগলের মত হ’য়ে গেলুম! কতদিন চ’লে গেল, তারপর তার শাশুড়ী, তাকে বাড়ী থেকে S8c