পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমল তাড়িয়ে দিলেন। তার স্বামীও তাকে ত্যাগ ক’রলে। তার বাপের মৃত্যু হ’ল। আমার মনে হ’ল, আমার তপ্ত দীর্ঘশ্বাস বিধাতার চরণে গিয়ে লেগেছে! আবার আমি হৃদয়ে দুরাশার প্রকাণ্ড ঘর বেঁধে দিলুম। তার অসহায় অবস্থায় সহায়তা করবার চেষ্টা ক’রে, কত রকমে প্রতি জানিয়ে তার মনে একটু স্থান পাবার চেষ্টা ক’রতে লাগলুম। ইতিমধ্যে তার স্বামী লুকিয়ে তাকে নিয়ে বিদেশে যাবার ইচ্ছে জানিয়ে একখানা পত্র দিয়েছিল; সে পত্ৰখানা হঠাৎ একদিন আমি পথে কুড়িয়ে পেলুম। সে কোথাও চলে যায়,—তাকে দেখার সুখটুকু থেকেও বঞ্চিত হই, আমার তা ইচ্ছে নয়। আমি সে পত্ৰখানাকে তার শ্বশুরের কাছে পাঠিয়ে দিলুম। তিনি লুকিয়ে রাখবার জন্যে তাকে দূরে কোথাও পাঠাবার বন্দোবস্ত ক’রছেন শুনে, আমি তার বাপের গুরুপুত্ৰ— সেই অর্থলোলুপ ব্ৰাহ্মণটাকে কিছু টাকা দিয়ে হাত ক’রলুম। কাশীতেআমারই একটা বাড়ীতে, তার এক কুলটা ভগিনী থাকৃত। পরামর্শ দিয়ে তাকে সেইখানে পাঠাবার বন্দোবস্ত ক’রে নিলুম। আমার সুচিরপোষিত বাসনা সফলতার জন্যে শীতমুখী হ’য়ে উঠল। ভিক্ষে ক’রে যা পাই নি, তা পাবার জন্যে দসু্য-বৃত্তি অবলম্বন ক’রলুম। পুণ্য, ধৰ্ম্ম, মনুষ্যত্ব,-সব ভাসিয়ে দিয়ে, আনার দিকে তার মনকে ফেরাবার জন্যে, আপনি আড়ালে থেকে সেই ব্ৰাহ্মণীটাকে দিয়ে অনেক দিন ধ’রে অনেক চেষ্টা ক’রতে লাগলুম। যখন দেখলুম, কিছুতেই কিছু হবার নয়, তখন নিজে দেখা দিলুম। দুই একটা দুরূহ বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হ’য়ে আমার ধারণা হয়েছিল, সতীত্ব বলে জগতে কিছু নেই,-ওটা কেবল একটা ফাঁকা কথা । সতীত্বের আবরণ যতই দৃঢ় হ’ক, প্রলোভনের টান সইতে পারে না, দুঃখকষ্ট্রের ভয়েও ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু সে "আমার ર8૭ ]