হইবার পরেও অনেকক্ষণ কোন কথা কহিল না। বহুক্ষণ সেই ভাবে অতিবাহিত হইলে, যুবা নিজের অনবধানতার জন্য যেন কিছু অপ্ৰতিভ হইয়া, মৃদু হাসিয়া জিজ্ঞাপ করল, “এ জটা-শুশ্রুগুলি কি আপনার প্রণয়-সাধনার সঙ্গী ছিল, না-বৈরাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে জন্মে ৬ই ?” সন্ন্যাসীও যুবার মুখের দিকে চাহিয়া একটু হাসিয়া বলিল, “এ সমস্তই কৃত্রিম ;- বিষয়গুলির একটা বিলি-ব্যবস্থার জন্যে একবার দেশে যাবার দরকার হ’মছিল, ছদ্মবেশ ভিন্ন আর সেখানে আমার যাবার যে নেই ।” যুবা । দেশ ছেড়ে তা অনেক দূর এসে পড়েছেন, এখনও এগুলি ছ|vড়ন নি কেন ? সন্ন্যাসী। ছদ্মবেশের জন্যে এগুলি ধারণ ক’রেছিলুম। বটে, কিন্তু মনের গতিটা এখন এতই ফিরে গেছে যে, রাজবেশের জন্যেও আর এ বেশ ছাড়তে ইচ্ছে হয় না । এই বেশটাকেই নিত্যবেশ ক’রে নেবার ইচ্ছে হ’য়েছে। যুবা মৃদু হাসিয়া বলিল, “তা বেশ!—তবে একটা কথা এই যে, এ শ্মশান-বৈরাগ্যটা স্থায়ী হবে কি ?” সন্ন্যাসী একটু গভীরভাবে বলল, “ব’লতে পারি না, তবে হওয়াই সম্ভব মনে হয়। -ভাল আর মান্দের সঙ্ঘৰিটা একবার নিম্বফল হয় না,- মন্দ যদি ভালকে নিজের পথে টেনে আনতে না পরে তবে আপনিই ভালর পথে গিয়ে পড়ে। এই পরবর্তনশীল জগতে পরবর্তনটা একদিকে না একদিকে সব জিনিসেরই হ’চ্ছে। ভালর দিকে এ পরিবর্তন, সেটার বড় আর পরিবর্তন হয় না, কারণ সেই দিকেই বিশ্বের প্রবণতা-জগৎ দিনে দিনে ভালর ভাবেই ফুটে উঠছে।” & 8w