পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবা । কি জানি-আমার ত ঠিক তার বিপরীত মনে হয়। সয়তন যে কখন রমণীর একটা ধাক্কাতেই সদাশিব হ’য়ে দাড়ায়, তা ত কৈ বড় দেখা যায় না।-সে যা হ’ক,-আপনি ব’ললেন, সে সুন্দরীর বাড়ী আপনারই গ্রামে । তার স্বামীর সঙ্গে আপনার কখন দেখা-সাক্ষাৎ হয় নি ? সন্ন্যাসী, আমিই ইচ্ছে ক’রে তা করি নি।-কেন, তার সঙ্গে আপনার জানা-শুনা আছে না কি ? যুবা পুনৰ্বার একটু হাসিয়া বলিল, “একবারেই যে নেই তা কি ক’রে বলি ?--আপনার নাম বোধ হয়—হরকুমার বাবু?” সন্ন্যাসী বিস্ময়-বিস্ফারিতনেত্রে যুবার মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল,—“আপনার নাম ?” যুবা। বলতে আমার কোন আপত্তি নেই, তবে সেটা না শুনলেই বোধ হয়। ভাল হ’ত ;-যে সুন্দরী আপনাকে সন্ন্যাসী ক’রেছে, সেই আমাকেও গৃহত্যাগী ক’রেছে।-আমার নাম বিরাজমোহন । “বিরাজমোহন’ এই নামাক্ষর কয়টিতে কি ইন্দ্ৰজালি-শক্তি প্ৰচ্ছন্ন ছিল বলা যায় না, তাহা উচ্চারিত হইবা মাত্র হরকুমারের মুখখানা কাগজের মত শাদা হইয়া গেল-সে যেন একবারে নিভিয়া গেল ! —তাহার মাথা একবারে বুকের উপরে বুলিয়া পড়িল। হীরালালকে বাড়ী ফিরাইয়া দিয়া বিয়াজমোহন সেই যে কলিকাতা ছাড়িয়া বাহির হইয়াছে, তাহার পর আর দেশের দিকে মুখ ফিরাক্স নাই, বিদেশেও কোথাও দুইদিন একস্থানে স্থায়ী হইতে পারে নাই,- ঝড়ের মুখে শুকুনা পাতার মত নিরন্তর ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। মধ্যে একবার তাহার ইচ্ছা হইয়াছিল, কলিকাতায় গিয়া বাড়ীর সংবাদটা জানিয়া আসিবে। সেই অভিপ্ৰায়ে কাশী পৰ্য্যস্ত ফিরিয়াছিল। যে 38.