পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दगाव्


Urth

বিরাজমোহন যেদিন ‘কলঙ্কিনী বলিয়াছিল, সেই দিন কমলার মনে হইয়াছিল, সংসারে থাকিবার তাহার আর কোন প্রয়োজন নাই ; সেই দিন হইতেই সে দিনে দিনে দণ্ডে দণ্ডে পলে পলে তিল তিল করিয়া মরিতেছিল। সুধাংশু যেদিন তাহাকে বলিয়া গেল যে, তাহার শাশুড়ী টাকা খুব্রচ করিয়া হীরালালের দ্বারা তাহার অসতীত্ববাদ প্রচার করাইয়াছেন, সেই দিন হইতেই সে যেন ধ্রুতগতিতে জীবনের অবশিষ্ট পথ অতিক্ৰম করিয়া মরণের দিকে ছুটিতে লাগিল। প্রত্যহ তাহার যে সামান্য একটু জ্বরের মত হইত। সেটাও ক্রমে বাড়িতে আরম্ভ করিল। কৃষ্ণনাথ ভয় পাইয়া কমলার চিকিৎসার জন্য একজন বিচক্ষণ কবিরাজ নিযুক্ত করিলেন। কবিরাজের ঔষধে কোন ফল হইতেছে না দেখিয়া, তিনি আবার একজন বহুদৰ্শী ডাক্তার ডাকিলেন। তাহাতেও কোন উপকার দেখা গেল না। কমলা ঔষধ খায় না ; নিতান্ত পীড়াপীড়ি করিলে, ঔষধ মুখে করিয়া বমনের ছলে তাহা ফেলিয়া দেয় ; যখন কেহঁ থাকে না তখন ঔষধ ফেলিয়া দিয়া শিশিতে জল ঢালিয়া রাখে। নীরদা, কমলা ও করুণা, তিনজনে এক শয্যাতে শয়ন করে। প্ৰতি প্রভাতে উঠিয়া করুণ কমলাকে জিজ্ঞাসা করে, “আজ কেমন আছ, দিদি ?” কমলা বলে, “ভাল আছি।” নীরদ বলে, “তুই বলিস “ভাল আছি,'-ডাক্তার বাবুও বলেন, “ভাল আছেন—কোন ভয় নেই’ ; কিন্তু আমরা কেন তোকে ভাল দেখতে পাই না, কমলা ?” : কমলা হাসিয়া বলে, “তোমরা যে আমাকে ভালবাস, দিদি ” মধ্যাহ্নে একদিন কমলা শয়ন করিয়া আছে। নীরদ ধীরে ধীরে পাখা [२९७