পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনিবার জন্য পান্ধী, বেহার ও মেয়ে-লোক সঙ্গে দিয়া সুধাংশুকে পাঠাইয়া দিলেন । তাহার পর আর পাঠাইবার নাম পৰ্য্যন্ত করিলেন না । রাত্রি নয়টা কি দশটার সময়ে একবার মেঘ উঠিয়া জ্যোৎস্নাটাকৈ একেবারে ঢাকিয়া দিয়াছিল, এক পশলা বৃষ্টির পর আবার নীল আকাশে চাদ দেখা দিয়াছে। জ্যোৎস্নাটা যেন বৃষ্টিতে ধৌত হইয়া পূৰ্ব্বাপেক্ষা শুভ্রতর হইয়া উঠিয়াছে। রাত্ৰি গভীর। পল্পীর জাগরণ-শব্দ সুপ্তির নীরবতায় ডুবিয়া গিয়াছে। নীলকমলের নিদ্রানিস্তব্ধ গৃহের একটি উপরকক্ষে তখনও আলো জ্বলিতেছিল। দীপ্ত প্ৰকোষ্ঠের শুভ্র ভিত্তিত্তে মধ্যে মধ্যে একটা চঞ্চল ছায়া পড়িয়া, কক্ষমধ্যে কাহারও নীরব-জাগরণ সুচিত 'করিতেছিল। সেই কক্ষতলে একটি শুভ্ৰ শয্যাতে বসিয়া বিরাজ একখানা বই পড়িতেছিল। কমলা তাহার পাশে শুইয়া ধীরে ধীরে পাখা নাড়িতেছিল। পাখার বাতাসটুকু কিন্তু সমস্তই বিরাজের গায়ে লাগিতেछिळ কাহাকে ও বাতাস করিতে হইবে অথচ সে তাহা করিতে দিবে না। এরূপ অবস্থায় লোকে যে ভাবে বাতাস খাইবার ছলে বাতাস করিয়া থাকে, কমলার এ পাখা-নাড়াটাও যেন সেই ভাবের। অল্পীক্ষণ পরেই পাখাখিনি কমলার অবশ হন্ত হইতে স্বলিত হইয়! পড়িল। বিরাজ ফিরিয়া দেখিল-কমলা ঘুমাইয়াছে। বাতায়ন-পথ দিয়া খানিকটা জ্যোৎস্না আসিয়া কক্ষতলে পড়িয়াছিল। কমলার দেহপূৰ্ব্বাৰ্দ্ধ তাহাতে উদ্ভাসিত হইয়াছিল । বিরাজ ধীরে ধীরে বইখানি বন্ধ করিয়া, কমলার শুভ্র রূপরাশির দিকে চাহিয়া এরূপভাবে বসিয়া O