পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभव्नl གག་བ, সেই মরণের নামে চমকে ওঠে,-সংসার ছাড়তে চায় না ; কিন্তু ম’লেই যার সব দুঃখ, সব জ্বালা-যন্ত্রণ ফুরিয়ে যাবে, তার কি ম’রতে মন কেমন করে ? বঁাচুতে আমার আর এক তিলও ইচ্ছে নেই, দিদি,-বাচুতে যেন আমি আর পারি না ! নীরদা। কেন ?—এখন ত তোর সুখের দিন ফিরে আসছে, বােন! দুঃখের দিনে বেঁচে আসতে পেরেছিস, আর এখন বঁাচুতে চাস না কেন?— আমাদের কঁদাবি ব’লে ? নীরদ আবার চক্ষে আঁচল চাপিয়া ধরিল। কমলা মৃদু হাসিয়া বলিল, “সুখের লুকোচুরি এই জীবনে অনেক দেখেছি, দিদি-অভাগীদের কাছে সুখ ঘেঁসিতে চার না। শুধু দুঃখের বোঝা বইতে কে বেঁচে থাকতে চায়-বল দেখি ?—অনেকদিন ধ’রে অনেক দুঃখের বোঝা ব’য়ে, অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা পেয়ে, প্ৰাণ যখন বড় কাতর- বড় অবসন্ন হ’য়ে পড়ে, তখন কার জুড়েবার ইচ্ছে হয় না, বােন ?-কিন্তু ংসার তা জুড়োবার ঠাই নয়, চিতায় গিয়ে না। শু'তে পারলে আর জুড়ন ठूशू ब्ा ।” করুণ একবার কান্না বন্ধ করিয়া, আদ্র নয়ন দুইটিকে কমলার দিকে ফিরাইয়া কম্পিত্যকণ্ঠে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথায় বলিল, “এ সব কথা আর ব’লে না, দিদি, তোমার পায়ে পড়ি!—আচ্ছা-মরণের নামে কি তোমার একটু ভয়ও হয় না ?” কমলার বিশীর্ণ ওষ্ঠে আবার একটু মৃদু হাসি ফুটিয়া উঠিল। ধীরে ধীরে করুণার দিকে মুখটি একটু ফিরাইয়া হাসিতে হাসিতে বলিল, “আশীৰ্বাদ করি—এমনি সরল, শাদা মনটি নিয়েই যেন তোর জীবন কাটে,-সংসার কি, দুঃখ কি, তা যেন কখন বুঝতে না হয়!”-এই কথা ૨૭]