পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभव्ञ। কঁদতে কঁাদতে চ’লে গেছে।--কম্পিত্যকণ্ঠে এই কথা বলিয়া, একটা গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কমলা চক্ষু মুদ্রিত করিল। দুই বিন্দু অশ্রু তাহার চোখের কোণে আসিয়া বসিয়া রহিল-গড়াইয়া পড়িল না। নিরন্তর কাদিয়া কাদিয়া তাহার অশ্রু-ভাণ্ডার কি শূন্য হইয়। গিয়াছিল ? 4. কমলা ঘুমাইল ভাবিয়া করুণ। ধীরে ধীরে কৃষ্ণনাথের নিকটে উঠিয় গেল। নীরদাও অনেকক্ষণ বসিয়া থাকিয়া নিঃশব্দে উঠিয়া যাইবার উপক্রম করিতেছিল এমন সময়ে হেমন্ত সেই ঘরে প্রবেশ করিয়া বলিল, “নীর দিদি ! সুধাংশু বাবু নতুন-দিদির শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন, আর একজনু কে এসেছেন-তিনি না কি দিদির বড় যা ! করুণা তাকে সঙ্গে ক’রে ওপরে নিয়ে আসছে!” হেমন্তের কথা ফুরাইতে না ফুরাইতে, করুণার হাতটি ধরিয়া চক্ষু মুছিতে মুছিতে তরঙ্গিণী একবারে কমলার শয্যার উপরে আসিয়া ঝুকিয়া বসিয়৷ পড়িল এবং দুই বাহুতে , কমলাকে জড়াইয়া ধরিয়া তাহার মুখের কাছে মুখ আনিয়া কি বলিতে যাইতেছিল তাহা আর বলিতে পারিল না, অশ্রুর প্রবাহে তাহার কথা ভাসিয়া গেল ! / ! কমলাও তরঙ্গিণীকে বুকের উপর চাপিয়া ধরিয়া আবেগভরে অশ্রুমোচন করিতে লাগিল। তাহার চক্ষে যে তখনও তত অশ্রু সঞ্চিত ছিলকে জানিত ? দুই জনেই মৌন —দুইটি হৃদয়ের বহুদিনের সঞ্চিত বিষাদকাহিনী অবিরাম নীরব-আশ্রতে বিগলিত হইতে লাগিল। নীরদ ও করুণা নীরবে দাড়াইয়া বিষাদ-বিজড়িত-হৃদয়ে সাশ্রনেত্রে উভয়ের অশ্রুবর্ষণ দেখিতে লাগিল। . &gvj