পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sess see শৈশব হইতে কখনও যাহাঁদের কোন ইচ্ছা বিফল হয় নাই, কোন উদ্যম ব্যর্থ হয় নাই, সব ইচ্ছা অনায়াসে পূর্ণ হইয়া আসিয়াছে, সৌভাগ্য অযাচিতভাবে সুখ ও সম্পদ বিতরণ করিয়া আসিয়াছে, আত্মশক্তির উপরে তাহাদের ভারী একটা নির্ভর থাকে। অদৃষ্ট বা দৈব বলিয়া তাকুঞ্জ কিছুই মানিতে চাহে না, কেবল পুরুষাকারকেই পূজ্য জ্ঞান করিয়া থাকে; কিন্তু নৈরাশ্য ও অকৃতকাৰ্য্যতার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁহাদের আত্মনির্ভরের উপরে একটা সংশয় ও অবিশ্বাস আসিয়া পড়ে। নীলকমলের ধারণা ছিল, তাঁহার বুদ্ধি অভ্রান্ত, কৌশল অব্যৰ্থ শক্তি অপ্ৰতিহত ; কিন্তু বিরাজমোহনের নিরুদেশ ও কমলার অজ্ঞাতবাসের কথা প্ৰকাশ হওয়া হইতেই তঁহার সে ধারণায় একটা ঘোর বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছিল। শুধু পরের কাছে নহে-আপনার কাছেও তিনি যেন অনেক । ছোট হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং পূর্বের সে তেজ ও দাম্ভিকতা হারাইয়া যেন কাপুরুষ হইয়া পড়িতেছিলেন। পূর্বে যাহারা তঁহার নিকটে কথা । কহিতে সাহস করিত না, তাহারাও এখন তাঙ্কার মুখের উপরেই, কত অপমানের কথা বলিয়া থাকে। গৌরীনাথের সম্পত্তি যেন ছায়ার মত তাঁহার মুষ্টিসংগ্ৰহ হইতে সরিয়া গিয়াছে। তঁহার নিজের সম্পত্তির আয়ও অনেক দিকে অনেক কমিয়া গিয়াছে। অনেক ক্ষুদ্র শত্ৰু মাথা তুলিয়াছে। সময়টা বিরুদ্ধ বুঝিয়া তিনি খরচপত্র অনেক দিকে অনেক কমাইতেছিলেন; কিন্তু কমলার মাসহরটি ঠিক সময়ে চূড়ামণির হাতে পৌঁছাইয়া দিতে