পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা করিয়া—সুধাংশু ও তরঙ্গিণীর সমভিব্যাহারে নীলকমল কাশী-যাত্ৰা করিয়াছেন । R নীলকমল যে দিন কাশী-যাত্ৰা করেন, সেই দিনেই সন্ধ্যার সময়ে কাত্যায়নী নিজের গহনা, কাপড় ও লুকান টাকা-কড়ি যাহা ছিল,—সব গুছাইয়া লইয়া রায়মহাশয়কে বাড়ীর ভিতরে ডাকাইলেন । রায়মহাশয় আসিলে, তাহার সম্মুখে একগোছা চাবি ফেলিয়া দিয়া কাত্যায়নী গম্ভীরভাবে বলিলেন, “এই চাবি চাবােলা সব রইল-কত্তা এলে বুঝিয়ে দিও !” রায়মহাশয় চোখদুটিকে বড় বড় করিয়া কাত্যায়নীর দিকে চাহিয়া, মাথা নীচু করিয়া বলিলেন, “বাড়ীতে তা হ’লে দেখছি আর কেউই থাকছেন না ।” কাত্যায়নী ঝঙ্কার করিয়া উঠিয়া তীব্রস্বরে বলিলেন, “আমাকেই চেরকালটা ভিটে কামড়ে প’ড়ে থাকতে হবে-কেন বল দেখি ? যার যেথা ইচ্ছে যেতে পারে-আমার বুঝি আর কোন চুলোয় ঠাই নেই ?” রায়মহাশয় আর দ্বিরুক্তি না করিয়া চাবির গোছাটি কুড়াইয়া লইয়া ধীরে ধীরে বাহিরে চলিয়া গেলেন। কাত্যায়নীও অভিমানের অশ্রু মুছিতে মুছিতে মোহিনীকে ডাকিয়া লইয়া গৃহত্যাগ করিলেন। , বাড়ীতে শুধু রায়মহাশয় রহিলেন, আর দুই তিনজন দাসীচাকর মাত্র রহিল। তিনি তাহাদের খুব খাটাইতে আরম্ভ করিলেন। মাজা বাসনগুলিকেও আবার মাজাইয়া ঝকঝকে করাইয়া লইলেন। ঘর, উঠান প্রভৃতি ধৌত ও মাজ্জিত করিয়া জিনিসপত্রগুলিকে সাজাইয়া গুছাইয়া বাড়ীখানিকে যেন উৎসব-দিনের উপযুক্ত করিয়া তুলিলেন। তিনি ২৬৬ |